খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
কাটোয়া ও দাঁইহাট পুরসভা সহ মহকুমার পাঁচটি ব্লকজুড়েই প্রতিদিন ভিন রাজ্য থেকে ফেরতদের সংখ্যা বাড়ছে। স্বভাবতই হোম কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। তাঁরা সরকারি নির্দেশিকা মানছেন কি না তা দেখার জন্য প্রতি ব্লকেই টাস্ক ফোর্স নজরদারি চালাচ্ছে। তবে বেশ কিছু জায়গায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা যুবকরা বাইরে বের হচ্ছেন এবং বাজারে ঘুরছেন বলে অভিযোগ উঠছে। তাই এবার হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাসিন্দাদের নির্দিষ্ট ফর্মে মুচলেকা লিখিয়ে নিচ্ছে পুরসভা। তাতে লিখতে হচ্ছে, আমি নিজের দায়িত্বেই নির্দেশিকা মেনে বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকব।
এছাড়াও পুরসভা থেকে প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডে গিয়ে ভিন রাজ্য থেকে কেউ এসেছেন কি না খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট ব্লকেও টাস্কফোর্স গ্রামে গিয়ে নজরদারি চালাচ্ছে। ইতিমধ্যেই কাটোয়া পুরসভার পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাসের জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে।
এ বিষয়ে কাটোয়া পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের কাছ থেকে মুচলেকা লিখিয়ে নিচ্ছি। এরপর আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিত তাঁদের খোঁজখবর করছেন। যদি কেউ এই নির্দেশ অমান্য করে, তাহলে তখন আমরা পুলিসকে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানাব। তবে, আতঙ্কের কিছু নেই। কেউ গুজব ছড়াবেন না। প্রত্যেকেই সতর্কে থাকুন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার পর্যন্ত কাটোয়া ও দাঁইহাট পুরসভা সহ মহকুমার পাঁচটি ব্লকে ভিন রাজ্য ও দেশ থেকে মোট ১৬৮৭ জন ফেরত এসেছেন বলে চিহ্নিন্ত করা গিয়েছে। এর মধ্যে কাটোয়া-১ ব্লকে ৭১১জন, কাটোয়া-২ ব্লকে ১৮৮ জন, কেতুগ্রাম-১ ব্লকে ২৮৪ জন, কেতুগ্রাম-২ ব্লকে ৮১ জন, কাটোয়া পুরসভায় ২৩৮ জন এবং দাঁইহাট পুরসভায় ৪১ জন। শনিবার পর্যন্ত গোটা মহকুমাজুড়ে এই সংখ্যা ছিল ১২৬০ জন। অর্থাৎ এই দু’দিনে ৪২৭ জন ভিন রাজ্য বা দেশ থেকে কাটোয়ায় ফেরত এসেছেন। এদের প্রত্যেককেই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সোমবার জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে আসা দুই যুবককে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দু’জনের বাড়ি দাঁইহাট ও কেতুগ্রামে। দু’জনেই ভিনরাজ্য থেকে ফিরেছেন। তাঁদের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে, এখনও পর্যন্ত তাঁদের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়নি।