বিএনএ, বহরমপুর: বাজার বা অন্য কোথাও থেকে কেউ এলে মোবাইল, ল্যাপটপ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। মাঝেমধ্যেই সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়ার পাশাপাশি সেগুলিও পরিষ্কার রাখা দরকার বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এছাড়া দরজার লকও পরিষ্কার করার দাওয়াই দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এই সময় হাতে থাকা আংটিও খুলের রাখার কথা তাঁরা জানিয়েছেন। চিকিৎসক তথা মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মনস্তত্ত্ব বিভাগের প্রধান রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, মোবাইল বা ল্যাপটপে ভাইরাস নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। সেকারণে মাঝেমধ্যেই সেগুলি পরিষ্কার করা উচিৎ। এই সমস্ত জিনিসগুলি ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করা ভালো। অর্থাৎ একজনের মোবাইল বা ল্যাপটপ অন্যরা ব্যবহার না করা উচিত। তবে সবাইকে বলব, অযথা আতঙ্কিত হবেন না। স্বাস্থ্যবিধিগুলি মেনে চললেই আমরা যুদ্ধ জয় করতে পারব। দরজার লক অনেকেই খোলেন। বাইরে থেকে কেউ এলেও তাতে হাত দেন। সেকারণে সেটাও পরিষ্কার করা উচিত। আরেক চিকিৎসক রামকৃষ্ণ ব্রহ্মচারী বলেন, হাতের আংটি এইসময় না পরাই ভালো। কারণ আংটি খুলে ভিতরের অংশ সবসময় পরিষ্কার করা সম্ভব হয় না। বাইরে থেকে আসার পর মোবাইল বা ল্যাপটপ অ্যালকোহল বা স্পিরিটজাতীয় কোনও পদার্থ দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এগুলি ব্যবহার করার পরও ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে। এইসময় সবার ঘরের মধ্যে থাকা উচিত। সবকিছু নিয়ম মেনে চললে আমরা জয়ী হবই। অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সকলকে সতর্ক হতে হবে। ধাতব যে কোনও বস্তু মাঝেমধ্যে পরিষ্কার করে নিলেই ভালো হয়। স্পিরিটি বা অ্যালকোহল জাতীয় কোনও কিছু দিয়ে তা পরিষ্কার করা যেতে পারে। টিভি বা ফ্রিজ পরিষ্কার করার জন্য অনেকেই সেসব মজুত রাখেন। তা দিয়েই পরিষ্কার করলেই হবে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যজুড়েই স্যানিটাইজারের ঘাটতি দেখা দেওয়ায় এখন ঘরোয়া পদ্ধতিতে স্যানিটাইজার তৈরি হচ্ছে। অ্যালোভেরার রসের সঙ্গে স্পিরিট মিশিয়ে তৈরি হওয়া স্যানিটাইজার বিজ্ঞানসম্মত বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। চিকিৎসক রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, স্যানিটাইজার না থাকলে সাবান দিয়েও হাত সাফাই করা যাবে। নিজেদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। এই পরিস্থিতিতে ভিড় এড়িয়ে ঘরের মধ্যে থাকা নিরাপদ। অনেকেই বিভিন্ন গুজবের কারণে মনোবল হারিয়ে ফেলছেন। সেটা করা উচিত নয়। মানসিক জোর বাড়াতে হবে।