খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
প্রসঙ্গত, করোনা আতঙ্কের জেরে কান্দি মহকুমার প্রায় সমস্ত বাজারগুলিতে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বেড়েছে। আলু ১৮-২০ টাকা, পেঁয়াজ ৩০ টাকা, লঙ্কা ১৫০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সুযোগ বুঝে কোথাও কোথাও তার থেকে বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে। সুযোগ বুঝে কালোবাজারি রুখতে এদিন এলাকার তৃণমূল নেতারা বাজারগুলিতে যান। কান্দি মহকুমা তৃণমূল সভাপতি গৌতম রায় এদিন সকালে কান্দির সব্জিবাজারে যান। ভরতপুর-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ আজাহারউদ্দিন সালারের বিভিন্ন বাজারে ঘোরেন। কান্দি ব্লক তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম সরকার সকালে কান্দি ও লকডাউন হওয়ার আগে গোকর্ণ বাজারে যান। গৌতমবাবু বলেন, মানুষের চাহিদার তুলনায় জোগান কম, তাই ব্যবসায়ীরা কালোবাজারি করতে শুরু করেছে। কিন্তু বিভিন্ন এলাকায় আমাদের নেতৃত্ব দেখছেন, যাতে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে কেউ কালোবাজারি না করতে পারে।
এদিকে এদিন পুলিসের প ক্ষ থেকেও বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হয়। কালোবাজারি করলে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। সালার থানার ওসি ইন্দ্রনীল মাহাত বাজারে ঘুরে দেখেন।
তবে এদিন বিধিনিষেধ উপেক্ষা না করে ভরতপুর-১ বিডিও অফিস সংলগ্ন এলাকায় বাসিন্দাদের মাস্ক ও সাবান বিলি করতে দেখা গিয়েছে। সেখানে মাস্ক বিলির জন্য এলাকার অন্তত ৫০জন নেতা হাজির ছিলেন। ঘণ্টাখানেক ধরে প্রচুর মানুষ সেখানে ছিলেন। ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, কিছুক্ষণের জন্য আমরা মাস্ক বিলি করেছি। লক ডাউন হওয়ার আগেই আমরা কাজ শেষ করেছি। তবে স্থানীয়দের দাবি, যাঁরা মাস্ক বিলি করা বেশিরভাগ নেতার মুখে মাস্ক ছিল না। বিডিও অফিস বা ভরতপুর থানাও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখেনি। এদিকে এদিন বড়ঞা ব্লক যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকেও বাসিন্দাদের মাস্ক ও সাবান বিলি করা হয়।