বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এবিষয়ে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের ডিসি(পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। পুজোর আগে দুষ্কৃতীদের কার্যকলাপ রুখতে আমরা স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে ওয়ার্ড কমিটি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিপিএল কলোনির সিএন-টাইপ এলাকায় ডিপিএলের আধিকারিক প্রশান্ত রায়ের আবাসনে ওইদিন চুরি হয়। প্রশান্তবাবু অসুস্থ থাকায় গত মাস থেকে মুম্বইয়ে চিকিৎসাধীন। আবাসনে পরিবারের লোকজন না থাকার সুযোগে দুষ্কৃতীরা জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দেয়। তবে কী কী চুরি গিয়েছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বিষয়টি নজরে আসতেই তাঁরা ওইদিন রাতে থানায় খবর দেন। পরে পুলিস এসে তদন্ত করে। ডিপিএল কারখানার কংগ্রেস শ্রমিক সংগঠনের নেতা উমাপদ দাস বলেন, প্রশান্তবাবু অসুস্থ থাকায় মুম্বইয়ে চিকিৎসাধীন। তিনি এলাকার এক সব্জি বিক্রেতাকে আবাসনটি দেখাশোনার জন্য রেখে গিয়েছিলেন। কিন্তু, ওই ব্যক্তি রাতে আবাসন দেখাশোনার জন্য থাকতেন। অনুমান করা হচ্ছে, দুষ্কৃতীরা দুপুরবেলা চুরির ঘটনাটি ঘটিয়েছে। ডিপিএল কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে এই কলোনি ঝোপঝাড়ে ভরে গিয়েছে। ফলে দুষ্কৃতীমূলক কাজ এলাকায় বেড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি ডিপিএলের নিরাপত্তা কর্মী কমে যাওয়ায় কলোনিতে নজরদারিও কমে গিয়েছে। পুজোর আগে শহরে চুরির ঘটনা প্রতিবছরই বেড়ে যায়। প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো উচিত।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই দুর্গাপুরের বিধাননগর এলাকার শিল্পকানন আবাসনের একটি বাড়িতে তালা ভেঙে লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না সহ কয়েক হাজার টাকা নগদ নিয়ে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। ওই বাড়ির মালিকও সেই দিন ছিলেন না। প্রতিবেশীরা ঘরের তালা ভাঙা অবস্থায় দেখে তাঁদের ফোন করে বিষয়টি জানান। কয়েকদিন যেতে না যেতেই ফের এধনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা।
এবিষয়ে দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেড(ডিপিএল)-এর জনসংযোগ আধিকারিক স্বাগতা মিত্র বলেন, কলোনির ঝোপঝাড় পরিষ্কারের কাজ শুরু করা হবে। এখন ডিপিএলের নিরাপত্তারক্ষী কম রয়েছে। তাও টহলদারি চালানো হয়। এছাড়াও নিরাপত্তার বিষয়টি লোকাল থানার পুলিস দেখে।