বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এবার বাঁকুড়া থেকে ৩০০বেশি বাস কলকাতার সমাবেশে যাচ্ছে। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যার পর জেলার বিভিন্ন ব্লক এলাকা থেকে দলীয় কর্মী ও সমর্থকরা বাস করে রওনা দেন। এছাড়াও একই সঙ্গে অসংখ্য ছোট ও বড় যানবাহনও কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয়। পাশাপাশি ট্রেনে করেও প্রচুর কর্মী ও সমর্থক যাচ্ছেন। জেলা নেতাদের একাংশ জানান, শুক্রবার রাতে জেলা থেকে প্রায় সাড়ে ৩০০কর্মী ট্রেনে করে রওনা দিয়েছিলেন। তাঁরা ইতিমধ্যে কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছেন। এছাড়াও শনিবার রাতে বাঁকুড়া, ছাতনা, বিষ্ণুপুর, ওন্দা, রামসাগর ও পিয়ারডোবা স্টেশনে প্রায় কয়েক হাজার কর্মী ও সমর্থক ট্রেনে চাপেন। এছাড়াও বড়জোড়া, গঙ্গাজলঘাটি ও মেজিয়া এলাকার কর্মীরা দুর্গাপুরে ট্রেনে চাপেন।
রাজ্যের পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন, এবার জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাস, ছোট যানবাহন ও ট্রেনে করে প্রচুর কর্মী ও সমর্থক কলকাতা যাচ্ছেন।
শুক্রবারের পর শনিবার সকাল থেকেই পুরুলিয়া স্টেশন সহ জেলার অন্যান্য স্টেশনে হাওড়াগামী ট্রেনগুলিতে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন ভোরে পুরুলিয়া এক্সপ্রেস ট্রেন থেকেই কর্মীদের ধর্মতলার সমাবেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু হয়। দুপুরের পরের ট্রেনগুলিতে ভিড় আরও বাড়ে। পুরুলিয়া স্টেশনের বাইরে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কর্মীদের সুবিধার জন্য একটি ক্যাম্পও করা হয়। ওই ক্যাম্প থেকেই ধর্মতলা যাওয়ার ব্যাজ বিলির পাশাপাশি কর্মীদের যাতে ট্রেনে যাওয়ার সময় কোনও রকম সমস্যায় পড়তে না হয় সেই বিষয়ে নজরদারি চালানো হয়।
এবিষয়ে তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাত বলেন, শুক্রবারের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি কর্মী সমর্থক এদিন ধর্মতলার সভার উদ্দেশে ট্রেন, বাস ও ছোট গাড়িতে করে রওনা দিয়েছে। পুরুলিয়া থেকে প্রায় ১৫০ বেশি বাস ভাড়া করা হয়েছে। এছাড়াও অসংখ্য ছোট গাড়ি, ভ্যান তো রয়েছেই।
এদিকে, শনিবার মধ্যরাত থেকে আরামবাগ পুরসভা ও বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্দিষ্ট জায়গা থেকে ১০০টি বাস যাত্রা শুরু করে ধর্মতলার উদ্দেশে। কর্মী সমর্থকদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।