বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের দাসপাড়ার মাধব হাজরা এবং তাঁর কাকাতো ভাই রমেশ হাজরার সঙ্গে জমি ও বাড়ির রাস্তা নিয়ে কয়েকবছর ধরে বিবাদ চলছিল। প্রায় দু’বিঘা জমির দখল নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ চলছিল। তেমনই বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা নিয়েও গণ্ডগোল চলছিল। এমনকী প্রায় ছ’মাস আগে গ্রামের কয়েকজন মিলে বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তার সমস্যা সমাধানের জন্য সালিশি সভা করেন। ভরতপুর পঞ্চায়েত থেকে বাড়ির পাশ দিয়ে রাস্তা করার চেষ্টা করাও হচ্ছিল। কিন্তু ওই দুই পরিবারের এতটাই বিবাদ চলছিল যে রাস্তা তৈরিও করা যায়নি। তেমনই জমির দখলদারির কোনও সমাধান হয়নি।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন বেলা ১১টা নাগাদ দুই পরিবারের সদস্যরা মাঠেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে দু’পক্ষ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি বাঁশ বাগানের কাছে ফের লাঠিসোঁটা ও লোহার রড, শাবল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দু’পক্ষের মধ্যে প্রায় ২০মিনিট ধরে সংঘর্ষ চলে। এর ফলে মাধববাবু সহ তাঁর পরিবারের মোট সাত জন জখম হন। রমেশ হাজরার পরিবারের চারজন জখম হন। পরে প্রত্যেককেই ভরতপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই মাধববাবুকে মৃত বলে জানান চিকিৎসকরা। বাকি ১০জনকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখান থেকে দু’পক্ষের দু’জন করে মোট চারজনকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
মৃতের মেয়ে চন্দনা হাজরা বলেন, ওরা আমাদের আত্মীয়। কিন্তু জমি নিয়ে বিবাদে আমার বাবাকে ওরা মেরে ফেলল। বাবার মাথায় শাবলের আঘাত করে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা ওদের প্রত্যেকের কঠোর শাস্তি চাই।
যদিও রমেশ হাজরার পরিবারের সদস্য দীপক হাজরা বলেন, এদিন ওরাই জমির দখল নিয়ে প্রথমে আমাদের উপর আক্রমণ করে। আমাদের জমিতে চাষ করতে দিচ্ছিল না। আমাদের পরিবারের কেউ ওদের উপর হামলা করেনি। মাধববাবুকে ওদের নিজেদের লোকজনই শাবল দিয়ে মেরেছে। ভরতপুর থানার পুলিস জানিয়েছে, দু’পক্ষই অভিযোগ জানিয়েছে। গোটা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দোষীদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।