বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
রূপপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নরেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, সোনাঝুরি জঙ্গলকে বাঁচাতে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে একটি বিকল্প রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। হোটেল, রিসর্টগুলির সামনে ১০-১২ ফুটের সেই অস্থায়ী রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। কোনও রিসর্ট সেই রাস্তা বড় করছে বা খাল বুজিয়ে দিচ্ছে এমন কোনও খবর আমাদের কাছে নেই। ওই রাস্তা পাকা করে দেওয়ার কথা মৌখিকভাবে হয়ে থাকলেও কাজ শুরু হয়েছে কিনা জানি না। এব্যাপারে কোনও বেনিয়ম হলে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
রূপপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সোনাঝুরি এলাকায় একের পর এক ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে রিসর্ট। খোয়াই ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ১১টি মৌজায় ইমারত নির্মাণ নিষিদ্ধ। কিন্তু, আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ওই এলাকায় চলছে বড় বড় নির্মাণ কাজ। সোনাঝুরির একটি রিসর্টের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক নিয়মে সৃষ্ট খোয়াইয়ের বাঁক ভরাট করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। পঞ্চায়েতকে না জানিয়েই এই নির্মাণ কাজ চলছে। সোনাঝুরিকে বাঁচাতে পঞ্চায়েতের তরফে রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল। আগামী দিনে ওই রাস্তা আরও ভালোভাবে তৈরি করার কথা রয়েছে। কিন্তু হোটেল কর্তৃপক্ষ পঞ্চায়েতকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে নিজেরাই রাস্তা তৈরি করায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন, এভাবে নির্মাণের ফলে প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে সোনাঝুরির প্রকৃতি। প্রায়ই গাছ কাটা হচ্ছে। এমনভাবে চলতে থাকলে নষ্ট হয়ে যাবে শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরির ঐতিহ্য। আগামী দিনে আর কেউ খোয়াইয়ে বেড়াতে আসবে না।
শান্তিনিকেতনের বাসিন্দা সোমনাথ সাউ বলেন, ছোট থেকেই দেখে আসছি এই বাঁক দিয়ে বর্ষার সময় বা বৃষ্টি হলে জল বয়ে যায়। কিন্তু এখানে এসে দেখলাম পাশের একটি হোটেল কর্তৃপক্ষ ওই জল যাওয়ার বাঁকে মাটি ভরাট করে রাস্তা তৈরি করছে। এই বেআইনিকাজ বন্ধ হওয়া উচিত।