বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
জানা গিয়েছে, একসময় এখানে একটি বড় ইস্পাত কারখানা করতে অনেকেই জমি দিয়েছিলেন। কারখানার বাইরে বহু জমি এখনও ফাঁকা পড়ে রয়েছে। ওই সমস্ত জমিতে ভবিষ্যতে সংস্থার সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু মাফিয়ারা তার আগেই পুরনো রেকর্ড ঘেঁটে ওইসব জমির দলিল নিজেদের লোকজনদের নামেও করে নিয়েছে বলে অভিযোগ। এই চক্রের জাল অনেক দূর বিস্তৃত রয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। তাঁরা বলেন, সরকারি জমিরও কীভাবে দলিল হয়ে যাচ্ছে সেটা আশ্চর্যের। মাফিয়ারা জমির দলিল নকল করার পরেই তা বিক্রি করছে। এই সিন্ডিকেট চক্র বিভিন্ন সরকারি বিভাগেও কাজ করছে। এভাবে চলতে থাকলে যে কোনও দিন শহরে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন। এলাকার বাসিন্দারা একজোট হয়ে প্রতিবাদ করার পরিকল্পনাও নিচ্ছেন।
ইস্কোর জনসংযোগ আধিকারিক ভাস্কর কুমার বলেন, সংস্থার জমি বহু জায়গাতেই দখল হয়ে গিয়েছে বলে আমাদের কাছেও অভিযোগ আসছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এলাকার বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, শহরে কোথাও ফাঁকা জমি পড়ে থাকলেই মাফিয়ারা সেখানকার দখল নিচ্ছে। এমনকী ব্যক্তিগত মালিকানার জমিও সিন্ডিকেটের লোকজন ছাড়া কেউ বিক্রি করতে পারে না। তারাই জমির দাম ঠিক করে দেয়। জমি মাফিয়াদের মাথার উপর প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে। সেই কারণেই কেউ তাদের বিরুদ্ধে যাওয়ার সাহস দেখায় না। তাছাড়া বার্নপুরে কেউ কোনও মাফিয়ার বিরুদ্ধে মুখ খুললে তার পরিণতিও ভালো হয় না। অতীতে শহরে একের পর এক খুন হয়েছে। তবে চোখের সামনে এভাবে জমি দখলের বিষয়টি অনেকেই মানতে পারছেন না। এলাকার এক বাসিন্দারা বলেন, প্রশাসন পদক্ষেপ না নিলে আর কয়েক বছর পর এলাকার সমস্ত জমি মাফিয়াদের দখলে চলে যাবে। ওদের দৌরাত্ম্যে কেউ নিজের জমি বিক্রিও করতে পারছেন না। জমি বিক্রি করতে হলে ওদেরই করতে হবে। এর আগে কয়েকবার প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে অভিযোগও হয়েছিল। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। বার্নপুরের বাসিন্দারা বলেন, এখানে জমি দখলের চক্রটি দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছে। আগে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় এসব চলত। কিন্তু এখন সমস্ত জায়গাতেই তাদের দৌরাত্ম্য বেড়ে গিয়েছে। এই চক্রের মাথার উপর দুই থেকে তিনজন রয়েছে। তাদের লোকজনই শহর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাল দলিল তৈরি করে জমি দখলের চক্রটি জেলাজুড়েই কাজ করছে। কয়েকদিন আগেই কুলটির বিএলএলআরও অফিসে তৃণমূল এই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভও দেখিয়েছিল। এছাড়া কাঁকসা ও দুর্গাপুরেও বেশ কয়েকবার এই অভিযোগ উঠেছিল। অতিরিক্ত জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি বলেন, অভিযোগ হলে নিশ্চয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।