দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
মাথাভাঙা -২ ব্লকের বড় শৌলমারি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত পাশাপাশি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফুলবাড়িতে ১৯টি আসনের মধ্যে সবক’টিতে জয়লাভ করেন তৃণমূল প্রার্থীরা। অপরদিকে বড় শৌলমারিতে ১৯টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৯টি এবং তৃণমূল ১০টি আসন পায়। সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বড় শৌলমারিতে বোর্ড দখল করে তৃণমূল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের পর ফুলবাড়ি পঞ্চায়েতের ১৯ জন সদস্যের মধ্যে ১৮ জন বিজেপিতে যোগদান করেন। একই সঙ্গে বড় শৌলমারি পঞ্চায়েতের প্রধান সহ বেশ কয়েকজন বিজেপিতে চলে গেলে দু’টি পঞ্চায়েতই শাসক দলের হাতছাড়া হয়ে যায়। স্থানীয় বিধায়ক বিনয়বাবু তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি হওয়ার পর একটার পর একটা পঞ্চায়েত ফের শাসক দলের দখলে চলে আসতে থাকে। ব্লকের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে একমাত্র ঘোকসাডাঙা ছাড়া বাকি ন’টি পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল। যদিও সবক্ষেত্রে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে পঞ্চায়েত সদস্যদের তৃণমূলে ফিরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির।
বিজেপির মাথাভাঙা বিধানসভার পর্যবেক্ষক সুশীল বর্মন বলেন, আমরা তৃণমূলের ছাপ্পা ভোটে জয়ী সদস্যদের দলে নিতে আগ্রহী ছিলাম না। ওরা জনরোষের হাত থেকে বাঁচতে আমাদের শরণাপন্ন হয়েছিল। ওরা বারবার যোগাযোগ করায় ওদের আমরা দলে নিয়েছিলাম। আমরা জানতে পেরেছি তিনটি উপনির্বাচনের ফল প্রকাশের পরের দিন বড় শৌলমারির প্রধানকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল তৃণমূলের লোকজন। কোচবিহারে পঞ্চায়েত সদস্যদের মিটিংয়ের কথা বলে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ফুলবাড়িতে এখনও আমাদের আট জন পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছে। মানুষ সমস্ত কিছু দেখছে। তারাই এর জবাব দেবে।
মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, বিজেপি খুনের হুমকি দিয়ে ভয় দেখিয়ে লোকসভা নির্বাচনের পর আমাদের দলীয় সদস্যদের তাদের দলে টেনে নিয়েছিল। বিজেপি যে উন্নয়নের বিরোধী সেটা এখন বুঝতে পেরেছেন পঞ্চায়েত সদস্যরা। এদিন বড় শৌলমারি গ্রাম পঞ্চায়েতে আমাদের টিকিটে জেতা ১০ জন সদস্য ফের দলে ফিরেছেন। তাঁদের সঙ্গে নিয়ে আমি নিজে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে যাই। এলাকার মানুষের উন্নয়নে কাজ করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। অপরদিকে ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯ জন সদস্যের মধ্যে ১৮ জনকে বিজেপিতে যোগদান করতে বাধ্য করা হয়েছিল। এদিন প্রধান সহ ১১ জন আমাদের সঙ্গে এসেছেন। বাকিরাও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এদিন বিকেলেও আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যদের বিজেপি হুমকি দিয়েছে। রাজ্যের তিনটি উপনির্বাচনে বিজেপির ঔদ্ধত্যের জবাব দিয়েছে মানুষ। আগামীতেও বিজেপিকে মানুষ এভাবেই জবাব দেবে।