দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
এদিন ইংলিশবাজার শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড পরিদর্শন শেষে মৌসম বলেন, বয়সজনিত জটিলতার কারণে ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলারের পদ খারিজ হয়ে গিয়েছে। তারপর থেকে ওই ওয়ার্ড কার্যত অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। রবিবার ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একাংশ আমার কাছে এসেছিলেন। তাঁরা এলাকার বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা ও তার সমস্যা নিয়ে আমার কাছে বিস্তারিত জানান। দলের তরফে এদিন আমরা বিষয়টা খতিয়ে দেখি। সরেজমিনে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে ঘটনাস্থলে আমি গিয়েছিলাম। বাসিন্দারা প্রকৃতই সমস্যার মধ্যে রয়েছেন।
মৌসম আরও বলেন, ওই ওয়ার্ডের জল রেলের জায়গার উপর দিয়ে এলাকা থেকে বের হয়ে যায় বলে জানতে পেরেছি। বর্তমানে রেলের বেশ কিছুটা এলাকা জবরদখল হয়ে রয়েছে। ফলে রেলের তরফ থেকে আর ওই এলাকায় নিকাশি নালা তৈরির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। সেজন্যই এলাকার জল বেরিয়ে যেতে সমস্যা হচ্ছে এবং এলাকাবাসীর ভোগান্তি বাড়ছে। বিষয়টি নিয়ে আগামী বুধবার মালদহের জেলাশাসকের অফিসে আমরা আলোচনা করব। ওই বৈঠকে আমি ও জেলাশাসক ছাড়াও রেলের ইঞ্জিনিয়ার এবং ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ থাকবেন। আশা করি আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান হবে।
এবিষয়ে ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, ওই এলাকার বাসিন্দাদের সমস্যার কথা আমি শুনেছি। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জল নিকাশি নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। এর আগে আমি একবার খানিকটা জোর করেই এলাকার জল বের হওয়ার জন্য নর্দমা সাফাই করে দিয়েছিলাম। কিন্তু তাতে সমস্যার সাময়িক সমাধান হলেও দীর্ঘমেয়াদি কোনও লাভ হয়নি। স্থায়ী সমাধানের জন্য ওখানে নর্দমা তৈরি করতে হবে। এব্যাপারে আমরা সব পক্ষ মিলে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেব।
আরপিএফের মালদহ টাউন স্টেশনের আইসি নীরজ কুমার বলেন, সাধারণত আমরা রেলের জমির উপর কাউকে কোনও নির্মাণকাজ করতে দিই না। শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সমস্যা নিয়ে আমাদের কাছে এদিন কেউ আসেনি। পরে এনিয়ে আলোচনা হলে সিদ্ধান্ত নিয়ে চিন্তাভাবনা করে দেখা যেতে পারে।
এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী মৌসম নুরকে হাতের কাছে পেয়ে এলাকার বাসিন্দারা তাঁদের নানা সমস্যার কথা জানান। জলনিকাশির সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছেন তাঁরা। সেই সমস্যার কথা অনেকেই জানান মৌসমকে। পাশাপাশি ওই ওয়ার্ডে রাস্তা নিয়েও সমস্যা রয়েছে। সেকথাও জানানো হয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা বলেন, আমাদের এই ওয়ার্ডের সমস্যার কথা শোনার মতো তো কেউ নেই। বয়সজনিত সমস্যার জন্য কাউন্সিলার আপাতত আমাদের ওয়ার্ডে নেই। ফলে আমরা কার্যত অভিভাবকহীন। এই এলাকায় অল্প বৃষ্টি হলেই জল দাঁড়িয়ে যায়। একবার জল জমে গেলে সেই জল নামতে বহু সময় লাগে। এবছর বর্ষাকালেও আমাদের খুব ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। সুষ্ঠু নিকাশির জন্য বড় পাকা নর্দমা বানানো প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু অনুমতি না মেলায় সেই কাজ করা সম্ভব হয়নি। আমরা এদিন আমাদের সব সমস্যার কথা মৌসম নুরকে জানিয়েছি। তিনি আমাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।