দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে সমস্যা একটি নয়। দীর্ঘদিন ধরেই এখানে দালালরাজ সক্রিয় রয়েছে। হাসপাতালে চলছে আয়ারাজ। বহিরাগত ট্রলিম্যানদের দাপটে নিখরচায় চিকিৎসা পরিষেবা মিলছে না। তার পাশাপাশি প্রতিদিন বহু মানুষ অর্থোপেডিক বিভাগে চিকিৎসা করাতে এলেও আউটডোরে চিকিৎসক না পেয়ে বাধ্য হয়ে বাইরের চিকিৎসকদের মোটা টাকা ভিজিট দিয়ে দেখাতে বাধ্য হচ্ছেন। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রায় ২০০ জন চিকিৎসক রয়েছেন। পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক থাকা সত্ত্বেও ইনডোরে ভরতি রোগীরা সুষ্ঠু চিকিৎসা পরিষেবা পান না বলে অভিযোগ রয়েছে। রোগী ও পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, চিকিৎসকদের একাংশ গভীর রাতে হাসপাতালে রাউন্ডে আসেন। অনেক চিকিৎসক রোগীদের সমস্যাও ভালো করে শুনতে চান না। সেই সঙ্গে অর্থোপেডিক বিভাগের আউটডোরে চিকিৎসক অমিল হয়ে যাওয়ায় রোগীরা মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন। হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসক না পেয়ে অনেকেই প্রাইভেটে ওই বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হচ্ছেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জন চিকিৎসক দীর্ঘদিন এই হাসপাতালে রয়েছেন। হাসপাতাল সুপার বলেন, একজন চিকিৎসক তাঁর ছেলের বিয়ের জন্য ব্যস্ততার কথা বলেছিলেন। অন্যজনের মা অসুস্থ বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু কেউই ছুটি নেননি। আরেকজন চিকিৎসক সপ্তাহখানেক হল কাজে যোগ দিয়েছেন। আউটডোরে পরিষেবা না দিয়ে তিনজন চিকিৎসক কেন গরহাজির রয়েছেন, সেটা জানতে চাওয়া হবে। ওই বিভাগের পরিষেবা শীঘ্রই যাতে স্বাভাবিক হয়, সে বিষয়টিও দেখা হচ্ছে।
এদিকে সোমবার রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন দেবীনগরের বাসিন্দা বৃদ্ধ নিতাই কর্মকার। তিনি বলেন, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা, গ্যাস ও হাইপ্রেসারের সমস্যা নিয়ে আউটডোরে চিকিৎসক দেখিয়েছি। শুধু গ্যাসের ট্যাবলেট পেলাম। বাকি চারটি ওষুধ বাইরে থেকে কিনে নিতে বলা হয়েছে। বিন্দোলের বাসিন্দা সোলেমান আলি হার্টের অসুখ নিয়ে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন। ওই রোগী জানিয়েছেন, হাসপাতালে একটি ওষুধ বিনামূল্যে পেলাম। বাকি তিনটি ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হবে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক হাসপাতালের ওষুধ সরবরাহ বিভাগের এক কর্মী বলেন, প্রায় ৭০ রকমের ওষুধ হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করার কথা থাকলেও এখন মাত্র ২৭ রকমের ওষুধ মজুত রয়েছে। যদিও হাসপাতাল সুপারের দাবি, ফেয়ার প্রাইজ শপ থেকে ওষুধ কেনার জন্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা কিছুদিন আগেই বরাদ্দ করা হয়েছিল। এখন কোনওভাবেই ওষুধের ঘাটতি থাকার কথা নয়।