দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহরে পানীয় জল সরবরাহ করা হয় ফুলবাড়ি জল প্রকল্প থেকে। দীর্ঘদিন ধরেই পলি জমে বিপন্ন হয়ে পড়েছে ওই প্রকল্প। এবার সেই প্রকল্পের বেহাল দশা নিয়ে সরব হলেন পর্যটনমন্ত্রী। এদিন মন্ত্রী মৈনাক ট্যুরিস্ট লজে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর এবং সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
পরে পর্যটনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে রাজ্য সরকার যেখানেই নদী কেন্দ্রীক জল প্রকল্প তৈরি করছে, সেখানেই আপতকালীন সময়ে পানীয় জল সরবরাহ করতে দু’টি রিজার্ভার বা জলাধার তৈরি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জলপাইগুড়িতে এমন প্রকল্প গড়া হয়েছে। কিন্তু, বিগত বামফ্রন্ট জমানায় ফুলবাড়ি জল প্রকল্প তৈরির সময় পরিকল্পনা নেওয়া হলেও সেখানে কোনও জলাধার তৈরি করা হয়নি। তখন অশোকবাবু নিজে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী। তাছাড়া, তাঁদের কাছে এমএলএ, এমপি, জেলা পরিষদ ছিল। রাজ্য সরকারও ছিল তাঁদের। কিন্তু, সদিচ্ছার অভাবে পূর্বৎন বাম সরকার ওই প্রকল্প পুরোপুরি বাস্তবায়িত করতে পারেনি। জলাধার তৈরি এবং সরাসরি তিস্তা নদী থেকে জল প্রকল্প পর্যন্ত পাইপলাইন পাতার কাজ করতে পারেনি। অশোকবাবুদের উদাসীনতার জেরে ওই জল প্রকল্প এখন মৃতপ্রায়।
শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র তথা প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য অবশ্য অভিযোগ মানতে নারাজ। পাল্টা তিনি বলেন, আট বছর ধরে রাজ্যের ক্ষমতায় ওঁরা। ওই পুকুর তিনি করলেন না কেন? তাছাড়া, শিলিগুড়ি শহরের পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে একটি বড় জল প্রকল্প তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রাক্তন জনস্বাস্থ্য কারিগরিমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ওই প্রকল্প এখনও হল না কেন? সেই জবাব কে দেবে, আমি না মন্ত্রী।
পর্যটনমন্ত্রী বলেন, বড় জল প্রকল্প গড়তেও সময় লাগবে তিন-চার বছর। শুধু সেই প্রকল্প নিয়ে বলা হলেও ওঁরা ফুলবাড়ির জল প্রকল্পের পরিকাঠামো উন্নয়ন করেননি। শহরের নাগরিকদের কাছ থেকে ওঁরা জলকরও আদায় করছেন। ওনাদের উদাসীনতার জেরেই ওই প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়তে চলেছে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে পলি জমায় ব্যারেজ এবং ইনটেক পয়েন্ট বিপন্ন হয়ে পড়েছে। কয়েকদিন আগে পলি তুলতে গিয়ে ব্যারেজের জলে সেচ দপ্তরের ক্রেন সেখানে পড়ে যায়। এবার তারা পাম্পের মাধ্যমে জল তোলার পর ব্যারেজ থেকে পলি সরানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। এজন্য কয়েকদিন জল প্রকল্প বন্ধ রাখতে হতে পারে। তাই আজ, তারা পিএইচই এবং পুরসভার সঙ্গে বৈঠক করবে।