দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হাসপাতাল পাড়ায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে রয়েছে ইসলামপুরের প্রসিদ্ধ সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির। ওই মন্দিরের বারান্দায় ভোগ রান্নার ঘর ছিল। তারপরে কিছুটা ফাঁকা জায়গা। তার পরেই হাইড্রেন। হাইড্রেনের দেওয়াল ঘেঁষে ঘরটির এলাকা বাড়ানোর জন্য নতুন করে নির্মাণ কাজ শুরু করে কর্তৃপক্ষ। ভিত তৈরির জন্য তিনদিন ধরে মাটি খোঁড়ার কাজ চলছিল। এর ফলে ঘরের দেওয়ালের নীচ থেকে মাটি সরে যায় এবং দেওয়ালটি শ্রমিকদের উপরে ভেঙে পড়ে। সেসময় দু’জন শ্রমিক নীচে নেমে মাটি সরানোর কাজ করছিলেন। ওই দু’জন চাপা পড়ে যান। উপরে কর্মরত শ্রমিক ও স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মন্দির কমিটির সম্পাদক বীরেন দাস বলেন, রান্নাঘরটির এলাকা বাড়ানোর জন্য নির্মাণ কাজ চলছিল। মিস্ত্রিরা তিন দিন ধরে কাজ করছিলেন। হঠাৎ দেওয়াল ধসে পড়ে এদিন। মন্দির কমিটিতে অনেকে ইঞ্জিনিয়ার সদস্য রয়েছেন। আমরা তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেই কাজ করছিলাম। যেহেতু পিডব্লুডির জায়গায় মন্দিরটি আছে, তাই পুরসভা অনুমতি নাও দিতে পরে বলে পুরসভার অনুমতি নেওয়া হয়নি।
১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাণগোপাল সাহারায় বলেন, মন্দিরে নির্মাণের কাজ হচ্ছিল বলে আমরা জানতাম না। এই কাজের জন্য পুরসভাকে জানানো হয়নি। পুরসভার কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। ইসলামপুর পুলিস জেলার এসপি সচিন মক্কর বলেন, এই বিষয়ে পুলিসের তেমন কিছু করার নেই। তবুও যেহেতু দু’জনের মৃত্যু হয়েছে, তাই মৃতদের পরিবার অভিযোগ করলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।