দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
কোচবিহার পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের মহানন্দ সাহা বলেন, পুরসভার উদাসীনতায় বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার খেসারত সাধারণ মানুষকে দিতে হচ্ছে। শহরের ৮০ শতাংশ ওয়ার্ডের নিকাশি নালার জল বের হচ্ছে না। চেয়ারম্যান এর আগে নাগরিক কনভেনশন করেছিলেন। সেসময়ে নিকাশি নালার জল বের করার বিষয়ে নাগরিকরা আবেদন জানালে তিনি অত্যাধুনিক ড্রেন নির্মাণ করার কথা বলে আশ্বস্ত করেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে সেই কাজ করেননি। তাই মানুষকে এই মশার যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে।
বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা রায় বলেন, কোচবিহার শহরে মশার উপদ্রব ভয়ানক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সন্ধ্যার পর মশার কারণে এক জায়গায় বেশিক্ষণ দাঁড়ানো যায় না। শহরে নিকাশি নালার বেহাল দশার কারণেই এই পরিস্থিতি হচ্ছে। পুরসভা এসব বিষয়ে একবারেই উদাসীন। আমরা বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনে নামব। পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের ভূষণ সিং বলেন, আমরা সব সময়েই শহরের ওয়ার্ডগুলিতে নিকাশি নালা পরিষ্কার করার কাজ করি। কিন্তু অনেকেই নিকাশি নালায় আবর্জনা ফেলেন। এতে সমস্যা হয়। আমরা শহরে ঢাকা ড্রেন তৈরি করব।
কোচবিহার শহরের ২০টি ওয়ার্ডের বহু ড্রেনেরই বেহাল অবস্থা হয়ে রয়েছে। একেকটি জায়গায় নিকাশি নালার অবস্থা এতটাই খারাপ যে নালার জল উপচে রাস্তার ধারে চলে আসছে। জঞ্জাল জমে ড্রেনগুলি একেবারে আটকে গিয়েছে। ওই নালাগুলি দেখলেই বোঝা যায় সেগুলি দীর্ঘদিন ধরে কোনওরকম সংস্কার হয়নি। শহরের ব্রাহ্ম মন্দিরের সামনে, রামেভোলা হাইস্কুলের পাশে, রাজমাতা দিঘি সংলগ্ন স্থানে, শনি মন্দির এলাকা, সিলভার জুবিলি রোড, ভবানীগঞ্জ বাজারের পিছনের অংশ, কলাবাগান এলাকার নিকাশি নালা সহ শহরের আরও বহু জায়গার নিকাশি নালা একেবারে বেহাল দশা হয়ে রয়েছে। এসব নালাগুলিতে জল দাঁড়িয়ে থাকছে। আর তাতে কার্যত মশার চাষ হচ্ছে।
দীর্ঘদিন থেকেই জেলাজুড়ে স্বাস্থ্যদপ্তর ও অন্যান্য দপ্তরের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে বহু পদক্ষেপ করা হচ্ছে। কিন্তু খোদ কোচবিহার শহরের মাঝেই নিকাশি নালার বেহাল দশা ও জল জমে থাকার কারণে মশার উপদ্রব চরমে উঠেছে। বিকাল হতে না হতেই বহু এলাকার মানুষকে জানলা দরজা বন্ধ করে রাখতে হচ্ছে। সন্ধ্যার পর মশার উপদ্রব আরও বাড়ছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভা এবিষয়ে এখনও কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ না করলে আগামী দিনে শহরে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।