দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
তিনি এদিন বৈঠকে বলেন, বাবরি মসজিদ ভাঙার দিন ৬ ডিসেম্বর রাজ্যের সর্বত্র বিশেষ নজর দিতে হবে। সম্প্রীতি বিরোধী কোনও কর্মসূচির অনুমোদন দেওয়া যাবে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। সংখ্যালঘুদের ভুল বোঝানো হতে পারে। কোনও গোলমাল পাকাতে দেওয়া যাবে না। বহিরাগতদের উপর নজর রাখতে হবে। ইন্টেলিজেন্স ইনপুট বাড়াতে হবে। ওই বিভাগকে আরও সক্রিয় হতে হবে। উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হায়দরাবাদ থেকে একটি সংগঠনের লোকজন এসে বলছে, আমরা তোমাদের দেখব। আমি তাদের বলি, বাংলাকে তোমরা চেন? তোমাদের দেখতে হবে না। বাংলার লোক, বাংলাকে দেখে রাখবে। এই ব্যাপারে হায়দরাবাদ ভিত্তিক সংগঠন অল ইন্ডিয়া মজলিশ-এ ইত্তেহাদ-উল মুসলিম (মিইম)-এর দিকেই মুখ্যমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
ওই সংগঠন সহ বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের কাজকর্ম নিয়ে সতর্ক করতেই এদিন উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা, স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য পুলিসের ডিজি বীরেন্দ্র, রাজ্য নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ করপুরকায়স্থ, কলকাতার পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মা, এডিজি আইনশৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিং, বারাকপুরের পুলিস কমিশনার মনোজ ভার্মা, বিধাননগরের পুলিস কমিশনার লক্ষ্মীনারায়ণ মীনা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী পুলিস কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন, পুলিসের আরও জনসংযোগ বাড়াতে হবে। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অনেক ইনপুট আসে। বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানো দরকার। তাহলেই দেখবেন, অনেক খবর চলে আসবে। বিভিন্ন কেস ডায়েরি ভালো করে তদন্ত করতে হবে। আইনশৃঙ্খলার উপর নজর দিতে হবে। পুলিসের কমিউনিটি সার্ভিস আরও বাড়াতে হবে। সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজকর্মের উপর নজর রাখতে হবে। রাস্তায় দুর্ঘটনা রোধ করতে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ ভালো করে প্রচার করতে হবে। পুলিসের টহলদারি বাড়াতে হবে।
বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, নারীঘটিত অপরাধ রুখতে বিশেষ নজর দিতে হবে। এই ধরনের ঘটনা ঘটলে কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। হায়দরাবাদের ঘটনার পর তিনি রাজ্যের সব স্তরের পুলিসকে সতর্ক করে দিলেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে বেলা তিনটেয় নবান্নে সব জেলার পুলিস সুপার, পুলিস কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য পুলিসের ডিজি বীরেন্দ্র, রাজ্য নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ করপুরকায়স্থ। সকালে ভবানী ভবনে পুলিস ওয়েলফেয়ার বোর্ডের বৈঠক হয়।