দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
ইতিমধ্যেই প্রতারিত ২২ জন গ্রাহকের লিখিত অভিযোগ একত্রিত করে যাদবপুর থানায় জালিয়াতি, প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মতো জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তভার লালবাজারের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখার গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, নতুন করে শহরে এই এটিএম ‘হ্যাকিং’-এর ঘটনা সামনে আসতেই গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল দিল্লিতে রওনা হয়েছে।
কেন দিল্লিতে গেল লালবাজারের এই দল? রবিবার থেকে দিল্লির নির্দিষ্ট একটি এলাকার কয়েকটি এটিএম ব্যবহার করে টাকা তুলেছে হ্যাকাররা। তাই গোয়েন্দারা দিল্লিতে ঘাঁটি গেড়েছেন। এদিকে, এই ঘটনার তদন্তে নেমে লালবাজার যাদবপুর এলাকার দু’টি এটিএম চিহ্নিত করেছেন। ওই দুটি এটিএমের সিসিটিভি ফুটেজও লালবাজারের হাতে এসেছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে যাদবপুর এলাকার ওই দু’টি এটিএম থেকেই ‘স্কিমার’ মেসিন উদ্ধার হয়েছিল। দেখা যাচ্ছে, ওই সময়ে যে সব গ্রাহক ওই দু’টি এটিএম ব্যবহার করেছেন, মূলত তাঁদেরই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা খোয়া গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে গোয়েন্দাদের অনুমান, সম্ভবত চলতি বছরের এপ্রিল মাসে যাদবপুর এলাকা থেকে এটিএমে ‘স্কিমার’ লাগিয়ে হ্যাকাররা গ্রাহকদের এটিএম কার্ডের তথ্য চুরি করেছিল। এতদিনে সুযোগ বুঝে সেই তথ্য ব্যবহার করে টাকা তোলা হচ্ছে। এবারের এই এটিএম হ্যাকিং কাণ্ডে মূলত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন পিএনবি, ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক, এসবিআই এবং কোটাক মাহিন্দ্রার মতো ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা।
আবার, চলতি বছরের আগস্ট মাসে কসবা থেকে দুই রোমানিয়ানকে গ্রেপ্তার করে লালবাজার। যারা হোটেলে বসেই স্কিমারের সাহায্যে গ্রাহকের এটিএমের তথ্য অনলাইনে সংগ্রহ করছিল। কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা শহরবাসীর কাছে এক আবেদনে বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব নিজের এটিএম কার্ডের ‘পিন’ বদলে ফেলুন। এতে আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা খোয়া যাওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যাবে।
এদিকে, বছর শেষে নতুন করে এটিএম হ্যাকিং সামনে আসতেই গোয়েন্দা প্রধান শহরের সব ডিসি সহ থানার ওসিদের এটিএমে নজরদারি বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন।