Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সিঁদুরে মেঘ ঝাড়খণ্ডেও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভারতের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একটা কথা বেশ প্রচলিত... এদেশের ভোটাররা সাধারণত পছন্দের প্রার্থীকে নয়, অপছন্দের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে থাকেন। ২০১৪ সালে যখন নরেন্দ্র মোদিকে নির্বাচনী মুখ করে বিজেপি আসরে নামল, সেটা একটা বড়সড় চমক ছিল। কারণ, গোধরা কাণ্ডের অতীত, দলের নরমপন্থী গোষ্ঠীর (প্রভাবশালী তো বটেই) বিপরীত মেরু এবং অবশ্যই একচ্ছত্র আধিপত্যে বিশ্বাসী এক রাজনীতিক। তাঁর ইতিবাচক দিক কী ছিল? অসম্ভব ভালো কথা বলতে পারেন, দারুণ প্রশাসক এবং গুজরাতের উন্নয়নে তাঁর প্রশংসনীয় ভূমিকা। এদেশের ভোটার এমন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কোনওদিন দেখেনি। গোটা ভারত প্রায় ঘুরেছিলেন তিনি, প্রচার করেছিলেন। বিজেপির এক একজন প্রার্থীর হয়ে। এভাবেই কি তিনি পছন্দের প্রার্থী হয়ে গিয়েছিলেন? নাঃ। ব্যাপারটা অতটা সহজ নয়। একের পর এক দুর্নীতির আগুনে পুড়ে তখন দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার ছাই হতে বসেছে। শরিকদের বায়নার চাপ এবং আর্থিক কেলেঙ্কারি... এই সরকার আগে কত ভালো ভালো কাজ করেছে, সেটাই মানুষ ভুলতে বসেছিল। হয়তো পরিবারতন্ত্র থেকে একটু ছুটি চাইছিল ভারত। তাই মোদির পক্ষে কেবল নয়, কংগ্রেসের বিপক্ষেও বিলক্ষণ ভোট পড়েছিল। সেই প্রবণতা চলতি বছরের লোকসভা ভোটেও দেখা গিয়েছে। কেন? মোদির প্রতিপক্ষ হিসেবে রাহুল গান্ধীকে ভারতীয় ভোটাররা খুব একটা পছন্দ করেননি। তাই মোদির পক্ষে ভোট তো পড়েইছে, রাহুল গান্ধীর বিপক্ষেও গিয়েছে বিপুল একটা অংশ। তারপর ছ’মাস অতিক্রান্ত।
পসন্দ-না পসন্দের থিওরিটা যদি ১০০ শতাংশ কার্যকর বলে ধরি, তাহলে এখন খুব পরিষ্কার ছবিটা হল, হাওয়া ঘুরছে। লোকসভা ভোটে অর্থাৎ দেশ চালানোর জন্য নরেন্দ্র মোদির বিকল্প নেই ঠিকই, রাজ্য চালানোর জন্য তো আছে! তাই মধ্যপ্রদেশ-রাজস্থান-ছত্তিশগড় যদি সিনেমার ট্রেলার হয়, তাহলে হরিয়ানা-মহারাষ্ট্রের ফল থেকে পূর্ণাঙ্গ ছবিটা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপির ঝুলিতে এখনও ভোট আসছে। কিন্তু প্রতিপক্ষকে ‘পছন্দ না হওয়া’ জনমতের যে সমর্থনটা তারা গত পাঁচ বছর ধরে পেয়ে এসেছিল, তাতে ভাটা পড়েছে। এবং তার হাতে-গরম প্রমাণ অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের তিন কেন্দ্রে উপনির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসন জয়ের পর বিজেপি মনে করেছিল, গোটা রাজ্যটাই তাদের দখলে। ফল যে এভাবে ঘুরে যাবে, ভোটের সময়ও এতটা আন্দাজ করা যায়নি। বিজেপি কিন্তু মনে করেছিল, কিছু না থাকতেই যদি এই ফল হয়, তাহলে তো বাংলার মানুষ আমাদেরই পাশে! যা হল না। বিষয়টা একেবারে পরিষ্কার, বিজেপির বোঝা উচিত, বাংলায় এখনও মমতার বিকল্প মমতাই। বরং যে রাজ্যগুলিতে বিজেপি গত কয়েক বছর ধরে ফুলেফেঁপে উঠেছিল, সেদিকে আরও বেশি করে নজর দেওয়া উচিত। হরিয়ানার পর মহারাষ্ট্রেও মুখ পুড়েছে গেরুয়া শিবিরের। এতদিনের শরিক শিবসেনা সঙ্গ ছেড়েছে। শুধু বাল থ্যাকারের দলই নয়, রাজ্যে রাজ্যে শরিক সমস্যায় ভুগছে বিজেপি। এমনকী ঝাড়খণ্ডেও আসন রফা নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (এজেএসইউ) এবার আর এনডিএতে নেই। তারা চেয়েছিল ১৮টি আসনে লড়তে। কিন্তু বিজেপি জানিয়েছিল, খুব বেশি হলে ১৩টি ছাড়া যাবে। আর তাতেই বেঁকে বসেছে এজেএসইউ। শনিবার থেকে শুরু হয়েছে পাঁচ দফার বিধানসভা ভোট। তারা কিন্তু আলাদাই লড়ছে। সাদা চোখে মারাত্মক কিছু মনে হচ্ছে না ঠিকই, এটা অবশ্যই বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা। একটা সময় ধারণা করা হচ্ছিল, ঝাড়খণ্ড বিজেপি হাসতে হাসতে দখল করবে। এখন কিন্তু অঙ্কটা অতটাও আর সহজ নেই। একটি সমীক্ষক সংস্থা মতামত সংগ্রহ করার পর দাবি করছে, খুব বেশি হলে ৩৩টি আসন পাবে। আর ৮১ বিধানসভা কেন্দ্রের ঝাড়খণ্ডে ম্যাজিক ফিগার ৪১।
গত কয়েকটি বিধানসভা নির্বাচনের ধারা দেখলে সমীকরণটা খুব অস্বাভাবিক নয়। আঞ্চলিক দলগুলি উল্লেখযোগ্যভাবে ইদানীং নির্ণায়ক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। এবং ঝাড়খণ্ডেও বিজেপি-বিরোধী জোটের মধ্যে কংগ্রেস নয়, জনপ্রিয়তা বেড়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার। চলতি ভোটে জেএমএমের হেমন্ত সোরেনই বিরোধী জোটে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার কিন্তু এখনও রাজ্যে একটা স্থায়ী ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে। সরকারে না এলেও ওই ভোটে সাধারণত খুব একটা ঘাটতি হয় না। গত বিধানসভা ভোটেও যা ছিল ২০ শতাংশের মতো। এছাড়া ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা বা জেভিএম কিছুটা ভোট টানে। এই জেভিএম গত ভোটে ছিল ইউপিএর সঙ্গে। এবার তারা আবার আলাদা লড়ছে। অর্থাৎ, বিজেপি যেমন এজেএসইউয়ের ভোটটা পাচ্ছে না, ঠিক তেমনই জেভিএমের সমর্থন কংগ্রেস জোটের সঙ্গে নেই। এই দুই দলই কিন্তু বড় দলগুলি থেকে কিছুটা ভোট কাটবে বলেই আশা করা যায়। সেক্ষেত্রে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হওয়ার সম্ভাবনাটাই প্রবল। এমন পরিস্থিতিতে ছোটখাটো দল এবং নির্দলের উপরই সরকার গঠনের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। কম বিধানসভা আসনের ঝাড়খণ্ডে বিজেপির একটাই সুবিধা, ৩০-৩৫টা আসন পেলেও বাকিটা ম্যানেজ করা অসম্ভব নয়। যে সমস্যাটা তাদের মহারাষ্ট্রে হয়েছে। ম্যাজিক ফিগার ১৪৫, কিন্তু তাদের দখলে ছিল ১০৫টি আসন। ফারাক অনেকটা। তাই কোনও না কোনও আঞ্চলিক দলের উপর ভরসা করতেই হয়েছে বিজেপিকে। শিবসেনা তাদের উপর দাদাগিরি দেখিয়ে জোট ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পেরেছে। এনসিপির অজিত পাওয়ার হঠাৎ ঘরশত্রু বিভীষণ হয়ে বেরিয়ে এসে সমর্থন জুগিয়েছেন। আবার তারপর বেচাল হয়ে গিয়েছে বুঝতে পেরে ঘরে ফিরে গিয়েছেন। ভোররাতে শপথের ব্যবস্থা করেও তাই মুখ পুড়েছে বিজেপির।
ঝাড়খণ্ডে তেমন কিছু হোক, বিজেপি তা একেবারেই চাইবে না। তারা অবশ্য আশাবাদী, রঘুবর দাসই বিনা ঝড়ঝাপ্টায় ভোট বৈতরণী পার করিয়ে দেবেন। তিনিই একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পাঁচ বছর টানা ঝাড়খণ্ডে সরকার চালিয়েছেন। ২০০০ সালে পৃথক রাজ্য হওয়ার পর এই প্রথম। তাহলে ধরে নেওয়া যেতেই পারে, তার মধ্যে নিশ্চয়ই সেই ক্ষমতা আছে! কিন্তু তাঁর জমানায় কি ঝাড়খণ্ডের দারুণ উন্নতি হয়েছে? হয়তো হয়েছে, কিন্তু তা চোখে পড়ার মতো নয়। ঝাড়খণ্ড খনি সমৃদ্ধ। দেশকে ‘কাঁচামাল’ সরবরাহ করে এই রাজ্য। অথচ এখানকার অধিকাংশ মানুষেরই দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস। এ অবশ্য নতুন কিছু নয়। বিশ্বের যে দেশ, যে প্রান্তই খনি সমৃদ্ধ, সেখানে এটাই অতি পরিচিত ছবি। শিক্ষার অভাব, হাতে কাঁচা টাকা এবং সেটাও যথেষ্ট নয়। রঘুবর দাস নিশ্চিতভাবে পাঁচ বছর সরকার টেনেছেন, কিন্তু এই ছবিটা বদলাতে পারেননি। খনি সমৃদ্ধ ঝাড়খণ্ডের বহু কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীকে সেখানকার মানুষ শুধু ভোটের সময় দেখেছিল। পাঁচ বছরে যাঁদের আর হদিশ পাওয়া যায়নি। সেই ক্ষোভটা ভোটারদের মনে বিলক্ষণ রয়েছে। কাজেই যদি মারমার কাটকাট ফল করতে হয়, বিজেপিকে কিন্তু স্ট্র্যাটেজি বদলাতেই হবে। আর যদি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীকে দেখে ভোট হয়, রঘুবরের ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছেন হেমন্ত সোরেন। আর কালো ঘোড়া জেভিএমের বাবুলাল মারাণ্ডি। জেভিএমের প্রাপ্ত আসন যদি ১৫ টপকে যায়, তাহলে বাবুলাল অদূর ভবিষ্যতে ঝাড়খণ্ডের ‘উদ্ধব’ হতেই পারেন।
বিজেপি যেভাবে হোক এই রাজ্য ধরে রাখার চেষ্টা করবে, সে নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। কিন্তু শরিক ধরে বা নির্দল ম্যানেজ করে জিতলেও কি নরেন্দ্র মোদির সেই সম্মান থাকবে? মনে রাখতে হবে, ঝাড়খণ্ডে ভোট পাঁচ দফায়। আর দিন যত যাচ্ছে, দেশের অর্থনীতির ফাঁপা চেহারাটা ততই প্রকাশ্যে আসছে। জিডিপি কমছে, উৎপাদন শিল্প ধাক্কা খাচ্ছে, কাজ হারাচ্ছে মানুষ। একে তো হাতে টাকা নেই, উল্টোদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। এর প্রতিকার এখনও চোখে পড়ছে না। রামমন্দির ইস্যু দিয়ে আর নতুন করে বিজেপি ভোট করাতে পারবে না। সেটা অতীত হয়ে গিয়েছে। সবার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে ঢুকে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ফের দিলে লোকে মারতে আসবে। তার থেকে যদি প্রত্যেক নাগরিকের দু’বেলা দু’মুঠো খাওয়াটা সরকার নিশ্চিত করতে পারে, সেটাই হবে পরম প্রাপ্তি। ভারতবাসী কিন্তু খুব অল্পেই সন্তুষ্ট হয়। নরেন্দ্র মোদি ‘আচ্ছে দিনে’র স্বপ্ন দেখালে আমরা তাতেই অন্ধের মতো বিশ্বাস করি। এখনও ভারত মনে করে, মোদিই পারবেন। তাই এই বিপুল জনমতে তাঁর ফিরে আসা। কেন্দ্রের মসনদে। এই বিশ্বাসের মর্যাদা দেওয়াটা কিন্তু তাঁরই কর্তব্য।
ফল মিলবে ভোটযন্ত্রে। কারণ, ভারত হোক বা ঝাড়খণ্ড... বিজেপির মুখ যে তিনিই। 
আগামী ভোটেও বিজেপির গলার কাঁটা এনআরসি
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির বিপর্যয় বিশ্লেষণ করতে গিয়ে যখন ওই প্রার্থীদের পরাজয়ের ব্যাপারে সকলেই একবাক্যে এনআরসি ইস্যুকেই মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, তখনও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এনআরসিতে অটল। তিন বিধানসভা কেন্দ্রের বিপর্যয়ের পর আবারও অমিত শাহ এনআরসি কার্যকর করবার হুংকার ছেড়েছেন।  
বিশদ

আচ্ছে দিন আনবে তুমি এমন শক্তিমান!
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সঙ্গে কলেজে পড়ত ঘন্টেশ্বর বর্ধন। ওর ঠাকুর্দারা ছিলেন জমিদার। আমরা শুনেছিলাম ওদের মাঠভরা শস্য, প্রচুর জমিজমা, পুকুরভরা মাছ, গোয়ালভরা গোরু, ধানভরা গোলা সবই ছিল। দেউড়িতে ঘণ্টা বাজত। ছিল দ্বাররক্ষী। কিন্তু এখন সে সবের নামগন্ধ নেই। ভাঙাচোরা বাড়ি আর একটা তালপুকুর ওদের জমিদারির সাক্ষ্য বহন করত। 
বিশদ

02nd  December, 2019
বিজেপির অহঙ্কারের পতন
হিমাংশু সিংহ

সবকিছুর একটা সীমা আছে। সেই সীমা অতিক্রম করলে অহঙ্কার আর দম্ভের পতন অনিবার্য। সভ্যতার ইতিহাস বারবার এই শিক্ষাই দিয়ে এসেছে। আজও দিচ্ছে। তবু ক্ষমতার চূড়ায় বসে অধিকাংশ শাসক ও তার সাঙ্গপাঙ্গ এই আপ্তবাক্যটা প্রায়শই ভুলে যায়।  বিশদ

01st  December, 2019
উপনির্বাচনের ফল ও বঙ্গ রাজনীতির অভিমুখ
তন্ময় মল্লিক

জনতা জনার্দন। ফের প্রমাণ হয়ে গেল। মাত্র মাস ছয়েক আগে লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসন দখল করে গেরুয়া শিবির মনে করেছিল, গোটা রাজ্যটাকেই তারা দখল করে নিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদায় শুধু সময়ের অপেক্ষা। সেই বঙ্গেই তিন বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে একেবারে উল্টো হওয়া বইয়ে দিল মানুষ।
বিশদ

30th  November, 2019
ওভার কনফিডেন্স
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের সব থেকে প্রিয় হবি হল পরিবর্তন। তাঁরা স্থিতাবস্থায় বিশ্বাস করেন না। তাঁরা বদলের বন্দনাকারী। পরিবর্তন কি খারাপ জিনিস? মোটেই নয়। বরং পরিবর্তনই তো সভ্যতার স্থাণু হয়ে না থেকে এগিয়ে চলার প্রতীক।   বিশদ

29th  November, 2019
উপনির্বাচনী ফল: বঙ্গজুড়ে পারদ চড়ছে কৌতূহলের
মেরুনীল দাশগুপ্ত

আজ রাজ্যের তিন বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনী ফল বেরচ্ছে। কথায় বলে, ফলেই পরিচয়। ফলেন পরিচীয়তে। আজ সেই ফলের জন্য উদ্‌গ্রীব বাংলা, বাংলার রাজনৈতিকমহল। নানান জনের নানা প্রত্যাশা চতুর্দিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অবশ্য সেজন্য আসমুদ্রহিমাচল বাংলা টানটান উত্তেজনায় কাঁপছে বললে হয়তো অত্যুক্তি হবে। বিশদ

28th  November, 2019
পাওয়ারের শক্তিপরীক্ষা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

এখন সত্যিই জানতে ইচ্ছে হচ্ছে, বালাসাহেব থ্যাকারে বেঁচে থাকলে কী করতেন! আগের রাতে শুনে ঘুমাতে গেলেন, শিবসেনার জোট সরকার হচ্ছে এবং ছেলে উদ্ধব সেখানে মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পরদিন সাতসকালে ঘুম ভেঙে দেখলেন, দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে ফেলেছেন।
বিশদ

26th  November, 2019
মহারাষ্ট্রে টানটান সিরিয়ালের নায়ক কে
সন্দীপন বিশ্বাস

কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের অবসান হয়েছে। যুধিষ্টিরের অভিষেক পর্বও হয়ে গিয়েছে। রাজনীতি, রাজধর্ম নিয়ে শিক্ষা নিতে তিনি গেলেন শরশয্যায় শায়িত ভীষ্মের কাছে। ভীষ্ম তাঁকে সেদিন যে উপদেশ দিয়েছিলেন তা আদর্শ রাজধর্ম এবং রাজনীতি বলেই বিবেচিত হয়। কিন্তু আজকের যুগের স্বার্থসর্বস্ব রাজনীতি দেখলে মনে হয় এই রাজনীতি যেমন নীতির রাজা নয়, তেমনই রাজার নীতিও নয়। 
বিশদ

25th  November, 2019
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে সংঘাতে জড়িয়ে পড়া কি রাজভবনের দায়বদ্ধতা?
হিমাংশু সিংহ

 ভেবেছিলাম লিখব শুধু পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচিত সরকার ও রাজভবনের বিগত দু’মাসের অবাক করা ভূমিকা নিয়ে। কিন্তু শনিবার ভোর হতে না হতেই সুদূর মহারাষ্ট্রের রাজভবনের ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ স্পষ্ট করে প্রমাণ করল, আজকের রাজ্যপালরা কেন্দ্রের শাসক দলের হাতের পুতুল ছাড়া আর কিছুই নন। বিশদ

24th  November, 2019
তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন: মিলবে লোকসভা-উত্তর রাজ্য-রাজনীতির মতিগতি
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে প্রথম তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ আগামী ২৫ নভেম্বর,ফলাফল ২৮ নভেম্বর। খড়্গপুর সদর করিমপুর এবং কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল থেকে বিবাদমান রাজ্য-রাজনীতির একাধিক প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে। 
বিশদ

23rd  November, 2019
ব্যাঙ্কের রাহুমুক্তি কবে? তাকিয়ে দেশের মানুষ
মৃণালকান্তি দাস

 সাম্প্রতিক কালে দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে একের পর এক প্রতারণার অভিযোগ সামনে আসার পরে অস্বস্তি বেড়েছে মোদি সরকারের। সেই অস্বস্তি আরও কয়েক দফা বাড়িয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বার্ষিক রিপোর্ট জানিয়েছে, গত অর্থবর্ষে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে প্রতারণা-জালিয়াতির ঘটনা বেড়েছে আরও অনেকখানি। প্রায় ১৫ শতাংশ। শুধু তাই নয়, প্রতারণা সবচেয়ে বেশি হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতেই। জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ছ’মাসে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে ৯৫,৭০০ কোটি টাকার বেশি প্রতারণা হয়েছে। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতারণার ঘটনা ছুঁয়েছে ৫,৭৪৩টি। সম্প্রতি এই কথা জানিয়েছেন খোদ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। যেখানে তার আগের বছর ২,৮৮৫টি ঘটনায় নয়ছয়ের অঙ্ক ছিল ৩৮,২৬০ কোটি। প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, কেন্দ্র বার বার নজরদারিতে জোর দেওয়ার কথা বললেও, প্রতারণা এতখানি বাড়ছে কী করে? কে বা কারা করছে এই প্রতারণা?
বিশদ

22nd  November, 2019
তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন: মিলবে লোকসভা-উত্তর রাজ্য-রাজনীতির মতিগতি
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে প্রথম তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ আগামী ২৫ নভেম্বর,ফলাফল ২৮ নভেম্বর। খড়্গপুর সদর করিমপুর এবং কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল থেকে বিবাদমান রাজ্য-রাজনীতির একাধিক প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে। বিশদ

21st  November, 2019
একনজরে
 নয়াদিল্লি, ২ ডিসেম্বর (পিটিআই): কমিশন এজেন্টের কাছ থেকে ১০০ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে ডাক বিভাগের সংশ্লিষ্ট অফিসারদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। ঘটনাটি উত্তপ্রদেশের প্রতাপগড় জেলার কুন্দা সাব পোস্ট অফিসের। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চালানোর খরচের ৯০ শতাংশ আগে কেন্দ্রীয় সরকার দিত। এখন দিচ্ছে ৪০ শতাংশ। ফলে রাজ্য সরকারকে দিতে হচ্ছে বাকি ৬০ শতাংশ টাকা। পরিস্থিতি এরকম হলেও রাজ্য সরকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি চালিয়ে যাবে বলে সোমবার বিধানসভায় জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ...

 ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল। ...

সংবাদদাতা, কুমারগ্রাম: উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর আলিপুরদুয়ার শহরের ইন্ডোর স্টেডিয়ামের পাশে অত্যাধুনিক ব্যায়ামাগার তৈরির কাজ শুরু করছে। এই কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এটির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আলিপুরদুয়ার জেলা ক্রীড়া সংস্থার হাতে তা তুলে দেওয়া হবে।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব এইডস দিবস
১৯৪১: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আক্রমণে চূড়ান্ত অনুমোদন দিলেন জাপানের সম্রাট হিরোহিতো
১৯৫৪: সমাজকর্মী মেধা পাটেকরের জন্ম
১৯৬৩: ভারতের ১৬তম রাজ্য হিসাবে ঘোষিত হল নাগাল্যাণ্ড
১৯৬৫: প্রতিষ্ঠিত হল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)
১৯৭৪: স্বাধীনতা সংগ্রামী সুচেতা কৃপালিনীর মৃত্যু
১৯৮০: ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফের জন্ম
১৯৯৭: বিহারের লক্ষ্মণপুর-বাথে অঞ্চলে ৬৩জন নিম্নবর্গীয়কে খুন করল রণবীর সেনা
১৯৯৯: গায়ক শান্তিদেব ঘোষের মৃত্যু

01st  December, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৯৪ টাকা ৭২.৬৫ টাকা
পাউন্ড ৯১.০৫ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৬১ টাকা ৮০.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৪৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৫১০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,০৬০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ৪২/৫৩ রাত্রি ১১/১৪। ধনিষ্ঠা ২০/২৯ দিবা ২/১৭। সূ উ ৬/৪/৫৩, অ ৪/৪৭/২৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৭/২৯ গতে ১১/৪ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৭ গতে ৮/২০ মধ্যে পুনঃ ৯/১৩ গতে ১১/৫২ মধ্যে পুনঃ ১/৩৯ গতে ৩/২৫ মধ্যে পুনঃ ৫/৫২ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৭/২৫ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৭ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৬ মধ্যে। 
১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ৪২/৪৮/৩২ রাত্রি ১১/১৩/৪৯। ধনিষ্ঠা ২২/৪৯/২৩ দিবা ৩/১৪/৯, সূ উ ৬/৬/২৪, অ ৪/৪৭/৫২, অমৃতযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে ও ৭/৪২ গতে ১১/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৮/২৬ মধ্যে ও ৯/২০ গতে ১২/১ মধ্যে ও ১/৪৯ গতে ৩/৩৬ মধ্যে ও ৫/২৪ গতে ৬/৭ মধ্যে, কালবেলা ১২/৪৭/১৯ গতে ২/৭/৩০ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৭/৪১ গতে ৮/৭/৩০ মধ্যে। 
৫ রবিয়স সানি  

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। বৃষ: বন্ধুস্থানীয় কোনও ব্যক্তির সাহায্যে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস১৮৮২: চিত্রশিল্পী নন্দলাল বসুর জন্ম১৮৮৯: বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর ...বিশদ

07:03:20 PM

শহরে এটিএম জালিয়াতি, আরও ১৪টি অভিযোগ দায়ের 
যাদবপুরের পর এবার চারু মার্কেট থানা এলাকা। শহরে ফের জাঁকিয়ে ...বিশদ

05:13:00 PM

বাংলায় এনআরসি হবে না, ধর্মের ভিত্তিতে ভাগাভাগি করা যাবে না: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 

04:06:10 PM

বুলবুল: রাজ্যকে আর্থিক সাহায্য পাঠাল কেন্দ্র
বুলবুল-এ ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য হিসাবে পশ্চিমবঙ্গকে আর্থিক সাহায্য পাঠাল কেন্দ্র। রাজ্যকে ...বিশদ

03:42:00 PM

আগামী ২ দিন বসবে না বিধানসভা অধিবেশন
রাজভবনে আটকে রয়েছে বিল । সেখান থেকে বিল না আসায় ...বিশদ

03:36:00 PM