দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
রানাঘাট-১ ব্লকের মাজদিয়া, দক্ষিণ মাজদিয়া, ন’পাড়া, মুশুণ্ডা, তারাপুর সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে উপর নির্ভরশীল। জরুরি পরিষেবার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসতে হলে ভরসা সেই নৌকা পারাপার, নয়ত ঘুরপথ। কিন্তু বর্তমানে ব্রিজের কাজ সম্পন্ন হলে যাতায়াত সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন হাজার হাজার মানুষ। সেতুটি চালু হলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন মাজদিয়া গ্রামের বাসিন্দারা।
২০১৬ সালের ১১ নভেম্বর সরকারিভাবে সেতুর কাজ শুরুর ছাড়পত্র মেলে। ১১০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং সাত মিটার চওড়া এই সেতু তৈরি হয়ে গেলে যাতায়াত করতে পারবে ভারী যানবাহন। নির্মাণকারী ঠিকাদার সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৭০ টন ওজনের ক্ষমতা রয়েছে এই সেতুটির। তাঁরা জানিয়েছেন, সেতুর কাজ অনেকটাই সম্পন্ন করা গিয়েছে। সেতুর গুণগত মান ঠিক রেখে বর্তমানে জোরকদমে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। ওই এলাকার ছোট থেকে প্রবীণ সকলেই অপেক্ষায় রয়েছেন কবে তাঁরা এই সেতু চালাতে পারবেন। রানাঘাট-১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তাপস ঘোষ বলেন, সেতুর ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সেতুর উদ্বোধন করবেন সেই লক্ষ্যে দ্রুততার সঙ্গে বাকি কাজ সম্পূর্ণ করা হচ্ছে।
এলাকার বাসিন্দারা একাধিকবার আনুলিয়া-মাজদিয়ার সেতু নির্মাণের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে দাবি জানিয়েছিলেন। এরপর বাম সরকারের আমলে তরফ থেকে ২০০৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আনুলিয়া-মাজদিয়ার স্থায়ী সেতুর শিলান্যাস হয়। তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত পরিবহণ মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী সেতুর শিলান্যাস করেন। কিন্তু তারপরও সেটি তৈরি না হওয়ার কারণে ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ ছিলেন। পরে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর নতুন করে ফের সেতুর তৈরির দাবি ওঠে। সেই দাবি পূরণের লক্ষ্যেই সেচ দপ্তরের উদ্যোগে ২০১৭ সালের মাঝামাঝিতে পুরোদমে শুরু হয় ব্রিজ নির্মাণ কাজ। রানাঘাট মহকুমা সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সেতু তৈরি করতে খরচ হচ্ছে ৯ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা। এছাড়াও রয়েছে কিছু আনুষঙ্গিক খরচ। প্রথমে এই সেতুটি কেবলমাত্র পায়ে হাঁটার জন্য তৈরির কথা বলা হয়েছিল। পরে সিদ্ধান্ত বাতিল করে পায়ে বড় সেতু তৈরি করার প্রকল্প গৃহীত হয়। এখন মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে সেতুর উদ্বোধনের অপেক্ষায় গ্রামবাসীরা।