দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে থাকা এই দোকানগুলিতে লাইন দিয়ে বহু মানুষ ওষুধ কিনছেন বলে স্বাস্থ্য দপ্তরের দাবি। যদিও রোগীদের অনেকেরই দাবি, সবসময় প্রয়োজনীয় ওষুধ দোকানে মিলছে না। এছাড়া যে ওষুধগুলির দাম বেশি সেগুলিও সবসময় পাওয়া যায় না। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, শুধু ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান থেকেই নয়, ন্যায্যমূল্যের ডায়গনস্টিক সেন্টার থেকেও অনেকেই উপকৃত হয়েছেন। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিনামূল্যে ৭ হাজার ৭৩৫ জন ডায়ালিসিস করিয়েছেন। সিটিস্ক্যান হয়েছে ১৮ হাজার ৭৪৪জনের। ডিজিটাল এক্স-রে হয়েছে ৪৪ হাজার ৬৫৬জনের। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, আপাতত এখন আর নতুন করে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান তৈরির পরিকল্পনা নেই। পাঁচটি দোকানে ওষুধ কেনার জন্য অনেকেই ভিড় করছেন। ভালো সাড়া পাওয়া গিয়েছে।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের জন্য আলাদা ইউনিট তৈরি হচ্ছে। এই ইউনিট তৈরি হলে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মালদহ জেলার বাসিন্দারাও উপকৃত হবেন। এছাড়া ট্রমা সেন্টার তৈরির কাজও শুরু হবে। বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের অভাব ছাড়া অন্যান্য পরিকাঠামো রয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কার্ডিওলজিস্ট, নিউরো বিশেষজ্ঞ নেই। চিকিৎসকের জন্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাজ্যের কাছে চিঠি লিখেছে বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলা সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। নির্দেশ মতো এখানে নিরপত্তাও বাড়ানো হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, কিছু পরিষেবার ঘাটতি থাকলেও আগের তুলনায় রোগীরা অনেক বেশি উপকৃত হচ্ছেন। ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানগুলিতে ভিড় দেখলেই তা বোঝা যায়।