দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগে ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ে মেট্রো রেল প্রকল্প থমকে গিয়েছে। বুলেট ট্রেনের জন্য জমি অধিগ্রহণ নিয়ে প্রথম থেকেই সমস্যা তৈরি হয়েছে। পালঘরে কৃষক এবং আদিবাসী সম্প্রদায় জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন। রবিবার রাতে সাংবাদিক সম্মেলন করে সেই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারে বলেন, ‘রাজ্যে বর্তমানে যে ক’টি উন্নয়নমূলক কাজ চলছে, তার খরচ, বাধা-বিপত্তি এবং সময়সীমা খতিয়ে দেখা হবে। তারপরই কোন কাজটি আগে প্রাধান্য দিতে হবে, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ বুলেট ট্রেন প্রকল্পের জমিজট প্রসঙ্গে উদ্ধব বলেন, আগের সরকার যে নীতি নিয়ে চলত, তাঁর আমলে তেমনটা হবে না। উন্নয়নকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে পরিবেশের কোনও ক্ষতি নতুন সরকার করবে না। কৃষকরা কোনও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে কি না, সে সব খতিয়ে দেখাই হবে নতুন সরকারের প্রধান কাজ। এই সরকার সাধারণ মানুষের। প্রয়োজনে বুলেট ট্রেন প্রকল্প পর্যালোচনা করা হবে।
একইসঙ্গে রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতির পর্যালোচনা হবে। প্রয়োজনে এব্যাপারে শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে নতুন সরকার। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারে জানান, এই মুহূর্তে রাজ্যের পাঁচ লক্ষ কোটির দেনা। তারপরও রাজ্যের কৃষকদের নিঃশর্তে ঋণ মকুবের ব্যবস্থা করবে সরকার। শিবসেনার এমপি সঞ্জয় রাউত জানান, রাজ্যের মানুষের ঘাড়ে বুলেট ট্রেন প্রকল্পের জন্য বাড়তি বোঝা চাপানোর বিরুদ্ধে তাঁদের দল। কারণ, মহারাষ্ট্রের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। উল্লেখ্য, সবথেকে দ্রুতগামী বুলেট ট্রেন ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে যাত্রা শুরু করবে। যার গতি হবে ঘণ্টায় ৩৫০ কিলোমিটার। ৫০৮.১৭ কিমি ট্রেন করিডরের মধ্যে মহারাষ্ট্রে থাকবে ১৫৫.৭৬ কিমি এবং গুজরাতে ৩৪৮.০৪ কিমি। দাদরা এবং নগর হাভেলিতে ৪.৩ কিমি।