দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
২০১২ সালে জুন মাসে মাওবাদী অধ্যুষিত দক্ষিণ বস্তার এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১৭জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। মৃতদের মধ্যে সাতজন নাবালকও ছিল। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে নিরীহ গ্রামবাসীদের হত্যা করেছে বাহিনী। ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয় তৎকালীন বিজেপি সরকার। মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ভি কে আগরওয়ালের নেতৃত্বে গঠিত হয় বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন। সেই তদন্তের রিপোর্ট বিধানসভায় পেশ করার আগেই সংবাদ মাধ্যমে ফাঁস হয়ে যায় বলে অভিযোগ। এমনকী গতকাল সোশ্যাল মিডিয়াতেও রিপোর্টের বিভিন্ন তথ্য ঘোরাফেরা করতে থাকে। বিজেপির অভিযোগ, এভাবে গোপন রিপোর্ট প্রকাশ্যে চলে আসা অনৈতিক।
এদিন বিধানসভার অধিবেশন শুরু হতেই সংঘর্ষের বিচারবিভাগীয় তদেন্তর রিপোর্ট পেশ করেন বাঘেল। তার পরেই হইচই বাঁধিয়ে দেন বিজেপির বিধায়করা। একযোগে তাঁরা বলতে থাকেন, এখন আর এই রিপোর্ট পেশ করার অর্থ কী? রিপোর্টের সব তথ্যই তো ফাঁস হয়ে গিয়েছে! এই ঘটনা অত্যন্ত লজ্জার! বিজেপি বিধায়ক তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রামন সিং বলেন, ‘বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন কীভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট ফাঁস হয়ে যায়, তা ভাবতেই অবাক লাগছে। আমরা যদি সংবাদ মাধ্যমে রিপোর্টের সবকিছু জানতে পারি, তা হলে বিধানসভায় সেই রিপোর্ট পেশ করে লাভ কী?’ একই সঙ্গে তিনি দাবি তোলেন, এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী স্বাধিকার ভঙ্গ করেছেন। অবিলম্বে রিপোর্ট ফাঁসের বিষয়টি নজরে এনে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত অধ্যক্ষের। বিরোধী দলনেতা ধরমলাল কৌশিকও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দাবিকে সমর্থন জানিয়ে প্রতিবাদে সরব হন। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী যে স্বাধিকার ভঙ্গ করেছেন, তা নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা হোক।’