দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত ২৭ নভেম্বর গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন স্বাগত সেন। পদত্যাগের আগে সপ্তাহ খানেক আর ক্যাম্পাসে আসেননি তিনি। উপাচার্যের পদত্যাগের পরে মাত্র একদিনের জন্য ক্যাম্পাসে আসেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরি। মাত্র একদিন অফিস করেই তিনিও চলে যান ক্যাম্পাস ছেড়ে। এবার আরও দুই পদাধিকারীর ইস্তফার ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে।
তবে পদত্যাগের পরে তিনি শুধু কয়েকটি বিধিবদ্ধ কাজ ছাড়া পদত্যাগপত্র গ্রহণ কিংবা খারিজের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না বলে জানিয়েছেন স্বাগত সেন। কলকাতা থেকে টেলিফোনে তিনি বলেন, নিজের পদত্যাগের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য পদাধিকারীদের পদত্যাগ গ্রহণ বা খারিজ আমি নীতিগতভাবে করতে পারি না।
এদিকে অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়া ফিনান্স অফিসার ভাস্কর বাগচির সঙ্গে তাঁর দু’টি মোবাইল নম্বরেই বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। একটি ফোন নম্বরে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। অপর নম্বরটিতে রিং হয়ে গেলেও তিনি ধরেননি। এদিন তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে জানা যায় যে তিনি দপ্তরে হাজির ছিলেন না।
তবে অধ্যাপক হিসাবে গবেষণা ও অন্যান্য শিক্ষা সংক্রান্ত কারণেই এই অতিরিক্ত দায়িত্বভার সামলানো তাঁর পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রদীপ চৌহান। তিনি বলেন, মাস খানেকের মধ্যেই একটি কেন্দ্রীয় গবেষণার প্রকল্প আমার জমা দেওয়ার কথা। কিন্তু এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে। ফলে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্ব সামাল দেওয়া আর সম্ভব হচ্ছিল না। তা ওই দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা উপাচার্যকে জানিয়েছি।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আধিকারিক ও কর্মীদের বেতন না হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন প্রায় সকলেই। এক অধ্যাপক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস পয়লা বেতন হওয়াটাই রীতি। সেই অনুযায়ী আমাদের বিভিন্ন মাসিক কিস্তি দেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কে বলা থাকে। সমস্যা তাই যথেষ্ট সঙ্কটজনক।
এদিন ভারপ্রাপ্ত অডিট অফিসারের ঘরে রাখা টেন্ডার পেপার জমা করার বাক্সটি ভাঙা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাতে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। শিক্ষাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের আন্দোলনে কালি লাগাতেই দুর্বৃত্তরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।
অন্যদিকে ভারপ্রাপ্ত অডিট অফিসার বিনয় হালদার টেলিফোনে বলেন, টেন্ডার বাক্স কে বা কারা ভাঙল, তা জানি না। ঘটনাটি কানে এসেছে। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। কর্তৃপক্ষের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা উচিত।