দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
উমাশঙ্করবাবুর মা-বাবার মৃত্যু হয়েছে অনেক আগেই। অকৃতদার উমাশঙ্করবাবুর চাকরিও হয়নি। একদম বেকার হয়েও নিজের পকেট থেকে কখনও বা কারও কাছে কিছু টাকা চেয়ে নিয়ে দিনহাটা শহরকে গ্রিন সিটি করার নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছেন বছর সাতচল্লিশের উমাশঙ্কর সরকার। শহরের সকলে তাঁকে একনামে চেনেন।
দিনহাটার বাসিন্দা বিশ্বরূপ বর্মন বলেন, আমরা ছোট থেকেই তাঁকে দেখতাম রাস্তার ধারে গাছ লাগাতেন ওই কাকু। এখন হাসপাতাল মোড় থেকে মহকুমা শাসকের বাংলোর সামনে দিয়ে যে রাস্তাটি গোসানি রোডে গিয়েছে সেই রাস্তার বেশির ভাগ গাছ তিনিই লাগিয়েছেন। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন রাস্তায় তিনি গাছ লাগিয়ে নিয়মিত তার পরিচর্যা করেন।
উমাশঙ্করবাবু বলেন, প্রথমদিকে রাস্তার ধারে বিভিন্ন গাছ লাগিয়ে সেগুলির পরিচর্যা করতাম বলে আমাকে অনেকে পাগল বলত। আমি ছোটবেলা থেকেই গাছ লাগাতে ভালোবাসি। ১৯৯০-৯১ সাল থেকে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় কয়েক হাজার গাছ লাগিয়েছি। আর্থিক সঙ্কটের জন্য অনেক গাছে বেড়া দিতে না পাড়ায় সেগুলি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমার শহর দিনহাটাকে গ্রিন সিটি হিসেবে দেখার স্বপ্ন আমি দেখি। অনেকে এখন আমাকে সহযোগিতা করছেন। তবে সরকারিভাবে একাজে সহযোগিতা পেলে খুব ভালো হতো।
৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা দিনহাটা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান শুভময় চক্রবর্তী বলেন, তাঁকে আমি খুব ভালো করে চিনি। দীর্ঘ দিন থেকে তিনি নিজের এলাকা সহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় সবুজ বাঁচাতে গাছ লাগাচ্ছেন। তার এই কাজ খুবই প্রশংসনীয়।