দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
বাঁধ না থাকায় প্রতি বছর সিতাইয়ে কয়েকশো বিঘা জমি নদী গর্ভে তলিয়ে যায়। বর্ষার সময় নদীভাঙনের হাত থেকে চাষের জমি বাঁচাতে দীর্ঘ দিন থেকে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে ছিলেন নদীপারের মানুষজন। দেরিতে হলেও অবশেষে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ায় খুশি এলাকার মানুষ। গত বর্ষায় সিতাইয়ের গিতালদহ, ওকরাবাড়ি, পেটলা, বড় শৌলমারি, গোসানিমারি, ব্রহ্মোত্তরচাত্রা, আদাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় ৫০০ বিঘা জমি নদী গর্ভে চলে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা লেবু মিঁয়া বলেন, আমাদের সামান্য চাষের জমি। বাঁধ না থাকায় প্রতি বছর বর্ষার সময় চাষের জমি ভেঙে নিয়ে যায় নদী। এবছরও আমার দুই বিঘা জমি নদীতে চলে গিয়েছে। আরও আগে বাঁধ নির্মাণ করলে ভালো হতো। দেরিতে হলেও কাজ হচ্ছে জেনে আমরা খুশি।
সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া বলেন, নদীভাঙন সিতাইয়ের একটি বড় সমস্যা। আমি বিধায়ক হওয়ার পর নদী যাতে কৃষি জমি ভেঙে নিয়ে যেতে না পরে সেজন্য উদ্যোগী হই। নদীভাঙন ঠেকানোর জন্য সেচ দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নিই। সিতাই ব্লকের আদাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কিশমত আদাবাড়ি থেকে মোড়ভাঙা পর্যন্ত ওই ৮৫০ মিটার নদী বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ হলে সিতাইয়ের দিকে সিঙ্গিমারি নদীর এক পাশের বাঁধ পুরোটা সম্পূর্ণ হবে। বিধায়ক আরও জানান, নদীভাঙন ঠেকাতে সিতাইয়ে সিঙ্গিমারি নদীতে ৩ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৮৫০ মিটার বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেছে সেচ দপ্তর। সিঙ্গিমারি নদীর পূর্ব দিকে ব্রহ্মোত্তরচাত্রা গ্রাম পঞ্চায়েতের সিঙ্গিমারিতে প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা নদী বাঁধ নির্মাণের জন্য চার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সেচ দপ্তর। ওই কাজের জন্য ইতিমধ্যেই টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। দ্রুত সেই কাজও শুরু হবে।