উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
দিনহাটার বিধায়ক উদয়নবাবু বলেন, দিনহাটা-২ ব্লক জুড়ে লাগামছাড়া সন্ত্রাস চালাচ্ছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তৃণমূল কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর সহ লুটপাট চালানো হচ্ছে। সাহেবগঞ্জ থানায় বারবার অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা হয়নি। এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানো দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা দরকার। পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধেই আমরা জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে অবস্থানে বসেছি। পুলিস কর্তাদের আশ্বাসে অবস্থান তুলে নেওয়া হলেও দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে। কোচবিহার জেলা বিজেপি’র অন্যতম সম্পাদক সুদেব কর্মকার বলেন, শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি হচ্ছে। নির্বাচনে খারাপ ফলের পরে তৃণমূলের নেতারা একে অপরকে বিশ্বাস করতে পারছে না। মানুষও তাদের পাশ থেকে সরে গিয়েছে। শাসক দলের নেতা হয়েও বিজেপি’র বদনাম করার জন্য নাটক করতে থানার সামনে অবস্থানে বসছেন। শাসক দলের ব্যর্থতার কারণেই হিংসা হচ্ছে। বিজেপি কোনও বিষয়ে জড়িত নয়। এনিয়ে কোচবিহার জেলার পুলিস সুপারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই উত্তপ্ত হয়ে উঠে দিনহাটা-২ ব্লক। নাজিরহাট, শালমারা সহ বিভিন্ন এলাকার তৃণমূল নেতা-কর্মীরা ঘড়ছাড়া। অনেককেই জরিমানা দিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে। দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিকাংশ পঞ্চায়েত সদস্য শিবির বদলিয়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। বস্তুত শাসক দলের জনসমর্থনে ধস নামায় পিছুটান দিয়েছে অনেক নেতা-কর্মী। দিনহাটার নাজিরহাট, শালমারা, বুড়িরহাট, বাসন্তিরহাট, বড়শাকদল, চৌধুরীহাট সহ বিভিন্ন এলাকায় শাসক দলের কর্মীরা আক্রান্ত হলেও পুলিস কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ। সাহেবগঞ্জ থানায় অভিযোগ জানালেও দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেরাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই শাসক দলের কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এই সুযোগে বিজেপি’র বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে। সম্প্রতি ব্লক স্তরে কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করলে দলের কর্মীরা নেতাদের কাছে পুলিসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। সেই সময় সাহেবগঞ্জ থানা ঘেরাওয়ের পরিকল্পনা নেয় তৃণমূল। কলকাতায় দলীয় কর্মসূচি থাকায় তা পিছিয়ে যায়। কলকাতা থেকে ফিরে দলীয় পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের নিয়ে অবস্থানে বসেন উদয়নবাবু। দ্রুত পুলিস ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তাঁরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।