উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
বাজেট বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন ধরনের ভাতা ও সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে এই বাজেটে। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত মতো সরাসরি রক্তের সম্পর্কের ক্ষেত্রে জমি বা বাড়ির মালিকানা হস্তান্তরে শুধু ১০০০ হাজার টাকা করে প্রক্রিয়া চার্জ নেওয়া হবে, মিউটেশন চার্জ নেওয়া হবে না। তবে এর বাইরে জমি কেনাবেচা, হস্তান্তরের ক্ষেত্রে বর্তমানে এক শতাংশের পরিবর্তে তিন শতাংশ মিউটেশন চার্জ নেওয়ার কথাও উল্লেখ রয়েছে এই বাজেটে। যার প্রতিবাদ জানিয়ে বিরোধী দলনেতা তৃণমূল কংগ্রেসের রঞ্জন সরকার বলেন, এভাবে ঘুরপথে সাধারণ মানুষের উপর করের বোঝা চাপাতে চাইছেন। এর প্রতিবাদে আমরা গরিব মানুষের কাছে আবেদন জানাব তারা যেন পুরসভাকে কোনও কর না দেয়।
এদিকে কংগ্রেস মেয়রের পেশ করা বাজেটকে বাজেট বলেই মনে করছে না। পুরসভায় কংগ্রেসরে পরিষদীয় নেতা সুজয় ঘটক বলেন, জানাই ছিল মেয়র এধরনের একটি হাস্যকর বাজেট পেশ করবেন। যাতে শহরের প্রকৃত উন্নয়নের কোনও দিশা থাকবে না। আজ থেকে ১০ বছর আগে শহরে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ পুরোপুরি বন্ধ করে কংগ্রেস পরিচালিত শিলিগুড়ি পুরসভা রাজ্যস্তরে পুরস্কৃত হয়েছিল। এদিন মেয়র বাজেট বক্তৃতায় ১৭ বারেরও বেশি প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বন্ধ করা হবে বলে প্রস্তাব দিয়েছেন। আমরা ক্ষমতায় থাকার সময় বাজেটে শহরে আশ্রয়হীনদের জন্য শেল্টার তৈরির প্রস্তাব নিয়েছিলাম। এদিনের বাজেটে সেই প্রস্তাবও দিয়েছেন মেয়র। এরকম প্রতিটি ছত্রে গত চার বছরে মেয়র তাঁর ব্যর্থতাকে তুলে ধরেছেন।
তবে বিজেপি সরাসরি এই বাজেটের সমালোচনা করেনি। বরং সন্তোষ প্রকাশ করেছে। কিন্তু পুরসভায় বিজেপি’র পরিষদীয় নেত্রী মালতী রায় বলেন, গত চার বছরে মেয়র এত সুন্দর কল্যাণকর বাজেট পেশ করতে পারলেন না কেন। হাতে যখন কাজ করার সময় নেই তখন এত সুন্দর প্রস্তাব পরিকল্পনা নিয়ে মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়ে তা পূরণ করা যাবে কি না সেটাই আমাদের প্রশ্ন। তবে এই বাজেটকে সমর্থন বা বিরোধিতা করার ব্যাপারে কংগ্রেস ও বিজেপি কেউই এদিন সরাসরি কোনও মন্তব্য করেনি। তাদের বক্তব্য সোমবার বাজেট আলোচনার আগেই দলের সঙ্গে আলোচনা করে তারা এই সিদ্ধান্ত নেবে।
মেয়রের বাজেট বক্তৃতা নিয়ে বিরোধীরা একসুরে সমালোচনায় সরব হয়েছে। সকলেরই বক্তব্য, এদিন মেয়র যে বাজেট বক্তৃতা করেছেন তা রাজনৈতিক প্রতিবেদন ছাড়া কিছু নয়। কেননা পুরসভার ব্যর্থতাকে আড়াল করার জন্য মেয়র রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে শিলিগুড়ি পুরসভার সঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগই বেশি করেছেন। শহরের যানজট সহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে তিনি রাজ্য সরকারকে উপদেশ দিয়েছেন। বিরোধী দলনেতা বলেন, বাজেটে বা বাজেট বক্তৃতায় এসবের উল্লেখ করা যায় না। আসলে মেয়র এখনও মনে করেন তিনি মন্ত্রীই রয়েছেন। তাই ২০ বছরের পুরনো অভ্যাস তিনি ত্যাগ করতে পারেননি। মেয়র বলেন, এত অসহযোগিতার মধ্যেও শিলিগুড়ি পুরসভা যে কাজ করে চলে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।