উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
শিল্পীরা বলেন, আমরা দীঘদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত বিভিন্ন লোকশিল্পী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। কিন্তু রাজ্য সরকার আমাদের সঙ্গে বঞ্চনা করছে। প্রকৃত লোকশিল্পীদের সুযোগ সুবিধে না দিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে যোগসাজশ করে তৃণমূলের লোকশিল্পী সংগঠনের নেতৃত্ব নিজেদের পরিবারের সদস্য, আত্মীয়, পরিচিতদের সরকারি লোকশিল্পীর পরিচয়পত্র দিয়ে দিচ্ছে। দিনের পর দিন আবেদন করেও সরকারি সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে আমরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। লোকশিল্পীদের সমস্যা নিয়ে আমরা লাগাতার আন্দোলনে যাব।
পশ্চিমবঙ্গ অংসগঠিত ট্রেড ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি অজয় অগ্নিহোত্রী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শিল্পীদের সঙ্গে বঞ্চনা করা হচ্ছে। তাই আজ লোকশিল্পীরা আমাদের কাছে এসেছেন। তাঁদের কীভাবে নায্য পাওনা দিতে হয় তা দেখিয়ে দেব। রাজ্যজুড়ে লোকশিল্পীদের বঞ্চনা নিয়ে আমরা লাগাতার আন্দোলনে নামব। ইতিমধ্যেই গৌড়বঙ্গের তিন জেলায় আমাদের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
সাধু ও লোকশিল্পী ইউনিয়নের দক্ষিণ দিনাজপুরের সভাপতি যোগেশ কর্মকার বলেন, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরে আমাদের লোকশিল্পীদের কয়েক হাজার আবেদন পড়ে রয়েছে। তৃণমূল থেকে যাঁদের নাম সুপারিশ করা হয় তাঁদেরকেই পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে আমরা বিজেপির দ্বারস্থ হলাম। জেলা থেকে কয়েক হাজার লোকশিল্পী শুক্রবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আগামীতে অমাদের সংগঠনে আরও অনেকে আসবেন। আমরা গ্রামগঞ্জে গিয়ে লোকশিল্পীদের সমস্যার কথা শুনছি। তাদের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত করছি। শীঘ্রই তিন জেলাজুড়ে বড়সড় আন্দোলনে আমরা নামব।
এদিকে তৃণমূল পরিচালিত অমৃত বাউল লোকগান প্রসার সমিতির জেলা সভাপতি অখিল বর্মন বলেন, সঠিক নিয়ম মেনে পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। এরমধ্যে কোনও যোগসাজশ নেই। বিজেপি কিছু মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বিজেপিতে নিয়ে গিয়েছে। ভুল ভাঙলে ওঁরা ফের তৃণমূলেই আসবেন। জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, আমাদের দপ্তরে আবেদন জমা পড়লে আমরা নির্দিষ্ট সময় অন্তর অডিশন নিয়ে পরিচয়পত্র দিয়ে থাকি। এক্ষেত্রে কোনও দল দেখা হয় না। কারও সুপারিশ গ্রহণ করা হয় না। যাঁরা এমন অভিযোগ এনেছেন তাঁরা হয়তো আবেদনই করেননি।
সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে লোকশিল্পীরা যে বিজেপির হয়ে ভোটে প্রচারে নেমেছেন সে খবর তৃণমূলের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে যায়। বালুরঘাটের তৎকালীন সংসদ সদস্য অর্পিতা ঘোষই সে খবর উপর মহলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু ক্ষত মেরামত তৃণমূল করতে পারেনি।
শুক্রবার তিন জেলা থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে লোকশিল্পীরা বালুরঘাটের সম্মেলন মঞ্চ থেকে বিজেপিতে যোগ দেন। কয়েক হাজার লোকশিল্পীর জমায়েত শহরে সাড়া ফেলে দেয়। সেখানে বালুরঘাটের সংসদ সদস্য সুকান্ত মজুমদার, বিজেপির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার, পশ্চিমবঙ্গ অংসগঠিত ট্রেড ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি অজয় অগ্নিহোত্রী, সাধু ও লোকশিল্পী ইউনিয়নের জেলার সভাপতি যোগেশ কর্মকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।