উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
মাদারিহাট থেকে টোটোপাড়ার দূরত্ব ২২ কিমি। এরমধ্যে ১৬ কিমি রাস্তা পূর্ত দপ্তরের (রোডস) অধীন। বাকি ৬ কিমি রাস্তা জেলা পরিষদের অধীনে আছে। টোটোপাড়া যেতে এই রাজ্য সড়কে পড়ে দয়ামারা, তিতি, বাংড়ি ও হাউড়ি নদী। চারটিই পাহাড়ি খরস্রোতা নদী। ভুটান পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি হলে ভরা বর্ষায় এই পাহাড়ি নদীগুলি ফুলেফেঁপে উঠে ভয়ঙ্করভাবে ফুঁসতে থাকে। এরমধ্যে তিতি ও বাংড়ি নদীতে কোনও পাকা সেতু নেই। নদীর চরের উপর দিয়েই ছোটবড় বিভিন্ন যানবাহন মাদারিহাট থেকে টোটোপাড়া যাতায়াত করে। তবে বৃষ্টি না হলে নদীগুলি থেকে জল তাড়াতাড়ি নেমে যায়।
টোটোপাড়া-বল্লালগুড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের আশা ব্যোমজান বলেন, শুক্রবার রাতে হান্টাপাড়ায় বাংড়ির জলোচ্ছ্বাসে রাজ্য সড়কের ১০০ মিটার রাস্তার অংশ উড়ে গিয়েছে। রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় মাদারিহাট সদর থেকে টোটোপাড়া যাতায়াত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দ্রুত যাতায়াত ব্যবস্থা স্বাভাবিক না হলে সদর থেকে টোটোপাড়ায় অত্যাশকীয় পণ্য আসা বন্ধ হয়ে যাবে। বিষয়টি ব্লক প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। মাদারিহাটের বিডিও শরণ তামাং বলেন, বাংড়ি নদীর জলের তোড়ে ভেঙে যাওয়া রাজ্য সড়কের অংশ যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে মেরামতের জন্য হান্টাপাড়া পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। ভাঙা রাস্তার অংশ দ্রুত মেরামত করে ওই রাজ্য সড়কে যাতায়াত ব্যবস্থা স্বাভাবিক করা হচ্ছে।
রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় শনিবার সকাল থেকে ওই রাজ্য সড়কে কোনও যানবাহন চলছে না। ব্লক সদর মাদারিহাটে যেতে পারছেন না টোটোপাড়া-বল্লালগুড়ি পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের দাবি, দ্রুত ভাঙা রাস্তা মেরামত করে তাদের সদরে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। এদিকে, তিতি নদীর উপর পাকা সেতুর জন্য রাজ্য থেকে ১৩ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হলেও সেতু তৈরির কাজ শুরু না হওয়ায় হান্টাপাড়া ও টোটোপাড়া-বল্লালগুড়ি দু’টি পঞ্চায়েতের প্রায় ২৫ হাজার বাসিন্দা বেজায় ক্ষুব্ধ। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা বলেন, অর্থ বরাদ্দ হওয়ার পরেও কেন সেতু তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে না তারা তা বুঝতে পারছি না। এদিকে বাংড়ি নদীর উপরেও একটি পাকা সেতুর জন্য পূর্ত দপ্তর পরিকল্পনা পাঠিয়েছে রাজ্যে। যদিও পাকা সেতুর জন্য এখনও রাজ্য থেকে কোন অর্থ বরাদ্দ হয়নি বলে জানিয়েছে পূর্তদপ্তর। এনিয়ে বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ। পূর্ত দপ্তরের (রোডস) আলিপুরদুয়ার জেলা নির্বাহী বাস্তুকার সঞ্জীব কুমার ঘরাই বলেন, তিতি নদীর উপর পাকা সেতুর জন্য অর্থ বরাদ্দ হলেও সেতু তৈরির কাজের টেন্ডার হয়নি। দ্রুত টেন্ডার ডেকে সেতু তৈরির কাজ শুরু করা হচ্ছে। বাংড়ি নদীতে পাকা সেতুর জন্য এখনও অর্থ বরাদ্দ হয়নি।