নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মারণ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে রাজ্য জুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার লিখিত আদেশনামা বের করে জানিয়েছে যে, লকডাউনের কারণে কাজে যেতে না পারা বেসরকারি সংস্থার শ্রমিক-কর্মচারীদের কোনওভাবেই বেতন বা মজুরি কাটা চলবে না। তা সত্ত্বেও উত্তরবঙ্গের বাগানগুলিতে লকডাউনের নির্দেশ মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করল চা শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। তাদের বক্তব্য, সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের কাছে এনিয়ে দরবার করেও কোনও লাভ হয়নি। বাগান মালিকরা ‘নো ওয়ার্ক নো পে’ বিধি দেখিয়ে শ্রমিকদের কাজে আসতে বাধ্য করছেন। ফলে করোনা সংক্রমণের বিপদ চা বাগানগুলির পাশাপাশি গোটা উত্তরবঙ্গে বাড়ছে। এবিষয়ে তারা বাধ্য হয়ে মঙ্গলবার নবান্নের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে। সেই সঙ্গে আজ, বুধবার থেকে তারা চা বাগানে কর্মবিরতির পথে নামছে বলেও ঘোষণা করেছে। বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে দেখার আশ্বাসও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করেও বিষয়টি জানিয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
শ্রমিক সংগঠনগুলির তরফে সিটুর রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু এবং অপর নেতা জিয়াউল আলম জানিয়েছেন, রবিবার জনতা কার্ফুর সময়ও চা বাগানে কাজ করেছেন শ্রমিকরা। এরপর সরকার লকডাউন ঘোষণা করা সত্ত্বেও এদিন একই ছবি দেখা গিয়েছে বিভিন্ন চা বাগানে। বাগান কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়েছে, কাজ না করলে মজুরি দেওয়া সম্ভব হবে না। এর ফলে পেটের তাগিদে শ্রমিকরা কাজ চালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর গোচরে বিষয়টি আনার জন্য কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান ও সুজনবাবুর হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়।