বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
উল্লেখ্য, দক্ষিণেশ্বরের ডোমেস্টিক এরিয়া কামারহাটি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। গত সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে এই ১৪ নম্বর ওয়ার্ডেরই মে দিবস কলোনিতে এক মহিলার ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়। ওই মৃত্যুর পর নড়েচড়ে পুরসভা। এলাকায় ড্রোন ক্যামেরা নামিয়ে ডেঙ্গু অভিযানে নামে। সপ্তাহ খানেক আগে রক্ত পরীক্ষার গাড়ির উদ্বোধন করে পুরসভা। পুজোর মধ্যে ডেঙ্গুতে যাতে না মৃত্যু হয়, তাতে সচেষ্ট হয়েছিল পুরসভা। তবে শেষ পর্যন্ত তা আটকানো গেল না। ১৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় জ্বরে আক্রান্ত এখনও অনেকে রয়েছে। পুরসভার হিসেব অনুসারে জ্বরে আক্রান্ত ২৬ জন। বেসরকারি মতে, সংখ্যাটা আরও বেশি। পুরসভার দাবি, এদের মধ্যে অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। পুজোর মধ্যে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঘটনায় প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, ড্রোন ক্যামেরা নামিয়ে ডেঙ্গু অভিযান বা ভ্রাম্যমাণ রক্ত পরীক্ষার যান উদ্বোধন লোক দেখানো। মশার আঁতুড়ঘর নির্মূল করতে সচেষ্ট হয়নি পুরসভা।
কামারহাটি পুরসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক পুর পারিষদ বিমল সাহা বলেন, দক্ষিণেশ্বরের রেল কোয়ার্টার্স এলাকায় জঙ্গল, নর্দমা পরিষ্কার করা হয়েছে। গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে রক্ত পরীক্ষা করেছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। যেখানে যেখানে জল জমা ছিল, তা পরিষ্কার হয়েছে। ডেঙ্গুর জীবাণু থেকে বাঁচতে বাসিন্দাদেরও সচেতন হতে হবে। ওই মহিলা বাড়িতেই চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। হাসপাতালে যাননি। নইলে তিনি সুস্থ হয়ে উঠতেন।
শুধু উত্তর শহরতলিতেই নয়, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল কলকাতা পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের এক ছোট্ট শিশুর। বৃহস্পতিবার ভোরে ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় শিশু হাসপাতালে ওই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, শিশুটির নাম বৃষ্টি দাস। শিবকৃষ্ণ দাঁ লেনে বাড়ি ওই তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীটি গত রবিবার থেকে জ্বরে ভুগছিল। মঙ্গলবার তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ডাঃ বি সি রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে শিশুটির মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের কথায়, প্রয়োজনীয় সাফাই কাজের অভাবে এলাকায় ডেঙ্গু ছড়িয়েছে। ওই এলাকা এবং সংলগ্ন বেশ কয়েকটি চত্বরে ডেঙ্গুতে একাধিক বাসিন্দা আক্রান্ত হয়েছেন। কলকাতা পুরসভা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে এই ঘটনা ঘটত না। এদিকে, ওই শিশুটির মৃত্যুর খবর কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগে বিকেলে এসে পৌঁছয়। স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ তথা ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, আমি প্রতিবার বলেছি, জ্বর হলেই রক্ত পরীক্ষা করা হোক। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রাখা হয়েছে। বিনামূল্যে পরিষেবাও পাচ্ছে। শিশুটি জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার প্রায় ছ’দিন পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সচেতনতা যদি না ফেরে তাহলে কীভাবে পরিস্থিতি বদল হবে, জানি না।