উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উত্তর দিনাজপুর জেলার সভাপতি গৌরাঙ্গ চৌহান বলেন, জেলায় তীব্র দাবদাহ চলছে। এতে পড়ুয়াদের পাশাপাশি শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও হাঁসফাঁস অবস্থা। অনেক পড়ুয়াই স্কুলে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আমরা ইতিমধ্যেই সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা শিক্ষাদপ্তরে সকালে স্কুল করার দাবি জানিয়েছি।
পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি আদিত্য নারায়ণ দাস বলেন, গরমের ক’দিন মর্নিং সেশনে স্কুল করার জন্য আমরা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কছে আবেদন করব। সেসঙ্গে শ্রেণীকক্ষে পর্যাপ্ত ফ্যানের আর্জিও রাখা হবে। এবিটিএ’র জেলা সম্পাদক বিপুল মৈত্র বলেন, গরমের হাত থেকে রক্ষা পেতে স্কুল মনিং সেশনে করার দাবি জেলা শিক্ষাদপ্তরকে জানাব।
উত্তর দিনাজপুর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) সুজিত মাইতি বলেন, আমার কাছে কিছু স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন সকালে স্কুল করার জন্য আবেদন জানিয়েছে। অসহ্য গরমের জন্য ছাত্রছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে, এমন খবরও আমিও পেয়েছি। ফলে গরমের ক’দিন মর্নিং সেশনে স্কুল করার বিষয়টি নিয়ে ভাবছি।
সর্বশিক্ষা মিশনের জেলার কো-আর্ডিনেটর সোমনাথ চক্রবর্তী বলেন, গরমের কারণে স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের উপস্থিতি অনেকটা কমেছে। জেলার সমস্ত স্কুলে বিদ্যুৎ আছে। ফ্যানের ব্যবস্থা করতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
যদিও অভিভাবকদের দাবি, স্কুলে বিদ্যুৎ থাকলেও অনেক স্কুলেই পর্যাপ্ত ফ্যান নেই। বড় শ্রেণীকক্ষে দু’টি বা তিনটি ফ্যান দরকার থাকলেও একটি ফ্যান রয়েছে। সকাল সকালই রোদ উঠছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপ আরও চড়ছে। মর্নিং সেশনে স্কুল হলে কিছুটা রেহাই পাওয়া যাবে।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বিদ্যালয় পরিদর্শক মৃণালবাবু বলেন, রাজ্য থেকে আমাদের কাছে এনিয়ে কোনও চিঠি বা নির্দেশিকা আসেনি। নির্দেশ মতো আমরা কাজ করব।
এদিন বালুরঘাটের ব্লকের পাশাপাশি গঙ্গারামপুর, বংশীহারি ব্লকের একাধিক প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ারা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। প্রাথমিক চিকিৎসা করে শিক্ষকরা তাদের বাড়ি পৌঁছে দেন। গরমের জন্য এদিন অধিকাংশ প্রাথমিক ও হাইস্কুলে পড়ুয়ার উপস্থিতি কম ছিল।
এবিপিটিএ’র দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সম্পাদক শঙ্কর ঘোষ বলেন, মর্নিং সেশনে স্কুল নিয়ে যাওয়ার দাবি আমরা করছি। এনিয়ে আমরা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে যাব। বিজেপির শিক্ষা সেলের জেলার আহ্বায়ক জয়ন্ত সরকার বলেন, সকালে স্কুল হলে পড়ুয়াদের কোনও সমস্যা হবে না। আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে এই দাবি শিক্ষাদপ্তরে রাখব।