উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
জোড়াতালি দিয়ে আউটডোর পরিষেবা চালু রাখার চেষ্টা করা হলেও আল্ট্রাসোনোগ্রাফি, প্যাথোলজির মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাই বন্ধ রয়েছে। ফলে একমাস আগে ডেট নিয়ে যাওয়া বহু মনুষ এদিন সেই পরিষেবা নিতে এসে ফিরে গিয়েছেন। তুফানগঞ্জ থেকে রমেন রায় এদিন এসেছিলেন তাঁর ১০ বছরের ছেলের আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করাতে। এসে জানতে পারেন জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের জেরে সব বন্ধ রয়েছে। কাজেই তাঁর ছেলের আল্ট্রাসোনোগ্রাফি এদিন হবে না। কবে হবে তাও কেউ বলতে পারছেন না। শেষে তিনি সুপারের কাছে যান। কিন্তু সুপারের অফিসে ঢোকার মুখেই তিনি বাধা পান। সেখানকার নিরাপত্তা রক্ষী রমেনবাবুকে জানিয়ে দেন আন্দোলন মিটে গেলে পরে আসতে। এখন কোনওভাবেই আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করা সম্ভব নয়। গরিব নিরীহ মানুষ রমেনবাবুর সাহস হয়নি নিরাপত্তা রক্ষীকে অতিক্রম করে সরাসরি সুপারের সঙ্গে কথা বলার। তিনি বাইরে দাঁড়িয়ে চোখের জল মুছতে মুছতে বলেন, বলেন,আমরা গরিব মানুষ। একটা পরীক্ষার জন্য কতবার খরচ করে আসব। আমাদের মতো গরিব মানুষকে কেন এভাবে সমস্যায় ফেলা হচ্ছে? আমাদের পয়সা নেই তাই নার্সিংহোমে যাওয়া সম্ভব নয়।
রমেনবাবুর মতো এদিন অনেকেই জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে এভাবে সরকারি হাসপাতাল পুরোপুরি অচল হয়ে পড়ার ঘটনা মেনে নিতে পারেননি। তাদের প্রশ্ন, গরিব মানুষ যদি চিকিৎসা পরিষেবা না পেয়ে মারা যান তার দায় কে নেবে? মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে এই আন্দোলনের কী মানে? সেই সঙ্গে তাঁরা সরকারের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সাধারণ রোগী ও তাদের পরিবারের থেকে প্রশ্ন উঠেছে, দিনের পর দিন সব সরকারি হাসপাতাল অচল হয়ে পড়ে রয়েছে, গরিব মানুষ হাসপাতালে এসে চিকিৎসা পরিষেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে দেখেও সরকার কেন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না? বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগীদেরও ডাক্তাররা ঠিক মতো দেখছেন না বলে বহু রোগীর পরিবারের লোকেরা অভিযোগ করছেন। অনেক ক্ষেত্রে কার্যত নার্সরাই চিকিৎসা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতাল সুপার কৌশিক সমাজদার বলেন, আমরা এক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। ঠিকমতো রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এভাবে বেশিদিন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে লিখিতভাবে আবেদন জানিয়েছি। এই পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য।