উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
বেলা বাড়তেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের পদত্যাগের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। ইউরোলজি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক বিশ্বজিৎ দত্ত পদত্যাগ করেন। তাঁর পদত্যাগের পর মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক দীপাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মোট ১২ জন চিকিৎসক পদত্যাগ করেন। এই তালিকায় মেডিসিন বিভাগের পিএল শেরপা, বিপ্লব মণ্ডল, রোসার্ট এক্কা রয়েছেন। বিকেল পর্যন্ত মোট ৮০ জন চিকিৎসক পদত্যাগ করেছেন বলে মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই অধ্যক্ষের মাধ্যমে রাজ্যের চিকিৎসা শিক্ষা অধিকর্তাকে সকলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। এই পদত্যাগপত্র গ্রহণ না হওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে রোগী দেখার কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এদিকে চিকিৎসকদের এই গণপদত্যাগের পাশাপাশি এদিন উত্তরবঙ্গ ডেন্টাল কলেজের ৩২ জন জুনিয়র চিকিৎসক কর্মবিরতির হুমকি দিয়েছেন। রাজ্যের চিকিৎসা শিক্ষা অধিকর্তাকে তাঁরা লিখিতভাবে জানিয়েছেন, রাজ্যজুড়ে সরকারি হাসপাতালে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে অবিলম্বে হাসপাতাল ও ডেন্টাল কলেজগুলিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পরিস্থিতির পরিবর্তন করা না হলে তাঁরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাবেন। মেডিকেল কলেজের ডিন ডাঃ সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, ৮০জন শিক্ষক-চিকিৎসকের পদত্যাগপত্র জমা পড়েছে।
এদিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে তাদের ধর্নায় শামিল হন শিলিগুড়ির স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ অমিতাভ মিশ্র। তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলিতে যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে তাতে জুনিয়র, সিনিয়র কোনও ডাক্তারেরই নিরাপত্তা নেই। আর এই পরিবেশে একজন চিকিৎসকের পক্ষে ভালো চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনায় রাজ্য সরকারের ভৃমিকায় আমরা বিস্মিত।