বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
এদিকে, গত কয়েকদিন ধরেই কংগ্রেস ভাঙে মৌসমের হাতধরে তৃণমূলে আসার ঢল চলছিল। শনিবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গাজোলের সভায় বেশকিছু বুথস্তরের কংগ্রেস কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেন। পরে চাঁচলের সভায় স্থানীয় কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অচিন দাস, দুই পঞ্চায়েত সদস্য লাল মহম্মদ ও মজিবুর রহমান তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। তাঁদের সঙ্গে এদিন বুথস্তরের প্রায় একহাজার নেতাকর্মী তৃণমূল যোগ দিয়েছেন। মৌসম নুর দাবি করেছেন, এই যোগদানের ঢল আরও বাড়বে। এনিয়ে জেলা কংগ্রেস অবশ্য জানিয়েছে, যাঁরা দল ছাড়ছেন তাঁরা প্রকৃত কংগ্রেসী নন। অচিরেই তাঁদের মোহভঙ্গ হবে। মালদহের মানুষ কংগ্রেসের সঙ্গেই থাকবে।
এদিন চাঁচল বাসস্ট্যান্ডের প্রকাশ্য সংবর্ধনা সভায় মৌসম নুর বলেন, আমি কৃতজ্ঞ যে দিদি আমাকে সাদরে গ্রহণ করেছেন। শুধু তাই নয়, এজেলায় সাম্প্রদায়িক বিজেপি’কে রুখে দিতে দায়িত্ব দিয়েছেন। উনি আমাকে লোকসভার প্রার্থী ঘোষণা করেছেন, দলে সম্মানীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ দিয়েছেন। দিদি এভাবেই প্রত্যেক মানুষকে নিয়ে আলদা করে ভেবেছেন। তাঁর সরকারি প্রকল্প ও পরিকল্পনার দিকে নজর দিলে সহজেই তা বোঝা যায়। তাই আমাদের দায়িত্ব তাঁর স্বপ্নপূরণ করা। এজেলাতে মৌসম নুর জেতা অপেক্ষাও বড় কথা দিদির লোকসভা নিয়ে স্বপ্ন পূরণ করা। আমি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকে যেভাবে আমজনতা, তৃণমূল, কংগ্রেস থেকে বিজেপি বিরোধী মানুষদের সমর্থন পেয়েছি তাতে একটা জিনিস পরিস্কার হয়ে গিয়েছে, এজেলায় বিজেপি’র কোনও জায়গা নেই। এখন শুধু আমাদের ভোটের মাধ্যমে ওদের শিক্ষা দিতে হবে। তাই কঠিন লড়াইয়ের জন্যে সকলকে প্রস্তুত হতে বলব। এরপরেই আরও সুর চড়িয়ে মৌসম বলেন, এজেলার প্রবাদপ্রতিম নেতা আমার মামা বরকত গণিখানসাহেব জেলার মানুষকে ঐক্যের সূত্রে বেঁধেছিলেন। একটি সম্প্রীতির আদর্শে সংযুক্ত করেছিলেন। বিজেপি’র ভাইরাস সেই ঐক্যকে জেঙে দিতে চাইছে। আমাদের সকলকে জেলার স্বার্থে, উন্নয়নের স্বার্থে সেই ভাইরাসকে রুখে দিতে হবে। মৌসম আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নমুখীতার জন্যে এজেলার মানুষ একটু একটু করে তৃণমূলের দিকে ঝুঁকেছেন। এই সত্যকে স্বীকার করতেই হবে। দিদির হাত শক্ত করতে, উন্নয়নকে ধরে রাখতে কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম, আরএসপি এসব বিভাজনের ঊর্ধ্বে সকলে জেলার কথা ভাবুন, এটাই আবেদন করব।
শুক্রবার থেকে উত্তর মালদহের এলাকা ধরে ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের নবীন নেত্রী সফর শুরু করেছেন। প্রকাশ্যে দলীয় সংবর্ধনা সভার করা হলেও একইসঙ্গে কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূলস্তরের কর্মীদের নতুন দলে নিয়ে আসার কাজও মৌসম শুরু করেছেন। সেই কর্মসূচিতেই এদিন প্রথমে গাজোলে তিনি সভা করেন। পরে চাঁচলে এসে প্রকাশ্যসভা করেন। এদিকে, এদিনই গাজোলে ২০১৭ সালের বন্যাপরিস্থিতি সময় ত্রাণ দিতে গিয়ে মৃত এক যুবকের পরিবারকে সরকারি অর্থসাহায্য দিয়েছেন মৌসম। মৌসম জানিয়েছেন, চাঁচলের বিবেকানন্দপল্লির বাসিন্দা প্রসেনজিৎ কর্মকারের দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর তিনি তাঁর পরিবারের জন্যে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছিলেন। এদিন চার লক্ষ টাকা সরকারি অনুদান ওই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।