বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
স্টাইলিস ক্লাবের সদস্য আসলাম আলি বলেন, গ্রামে সরস্বতীপুজোকে ঘিরে আমরা সকলেই আনন্দ করি। এখানে হিন্দু-মুসলমান বলে কোনও বিভেদ নেই। আমরা একসঙ্গে চাঁদা তুলতে যাই, একসঙ্গে প্রতিমা নিয়ে আসি। পুজোর দিন হিন্দ ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মহিলারা ভোগ রান্না করেন। সবাই মিলে একসঙ্গে বসে খিচুড়ি প্রসাদ খাই। এবার আমরা মণ্ডপ চত্বরে যশোদা’র কাছে থেকে শ্রীকৃষ্ণের মাখন খাওয়ার লীলা দর্শনার্থীদের দেখাব। রবিবার সকালে অঞ্জলির আয়োজন করা হয়েছে।
স্টাইলিস ক্লাবের সম্পাদক বঙ্কিম সরকার বলেন, আমাদের পুজো নিয়ে জেলাজুড়েই চর্চা আছে। প্রতিবছরই প্রচুর লোক পুজো দেখতে আসেন। অনেকেই দুপুরে এসে প্রসাদ নেন। বেশ কয়েকবছর ধরে আমরা গ্রামের হিন্দু ও মুসলমান পরিবারগুলি একসঙ্গে সরস্বতীপুজো করছি। পুজোর দিন আমরা গ্রামের সকলে মিলে খুব মজা করি। এবার বাজেট দেড় লক্ষ টাকার রাখা হয়েছে।
এবার স্টাইলিস ক্লাবের সরস্বতীপুজোর থিম ‘গ্রাম বাংলার পরিবেশ’। সেখানে বাল্য বিবাহ রোধ, সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ নিয়েও প্রচার প্রচার করা হবে। তাছাড়াও পুজো উদ্যোক্তারা স্বাস্থ্য শিবিরেও আয়োজন করেছে। গ্রামের এই পুজোয় পুরাতন মালদহ ব্লকের বিভিন্ন এলাকার লোকজন আসেন। দর্শনার্থীদের নজর কাড়তে এবার মণ্ডপ চত্বরে পুতুল নাচের মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণের বিভিন্ন লীলা, শিবের মাহাত্ম্য দেখানো হবে। অলোকসজ্জাতেও অভিনবত্ব আনার চেষ্টা চলছে। পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, গোটা মালদহে তাঁদের পুজো সকলের নজর কাড়ে। দুই সাম্প্রদায়ের লোকজন মিলেমিশে পুজো করে।
নিত্যানন্দপুরের মাঠে এখন সরস্বতীপুজোর মণ্ডপ তৈরির কাজ চলছে। ডাকেরসাজের সরস্বতী প্রতিমার অর্ডার দেওয়া হয়েছে। বুলবুলচণ্ডীর মৃৎশিল্পী উত্তমকুমার পাল প্রতিমা বানাচ্ছেন। গ্রামের রাস্তায় তিনটি তোরণ বানানো হচ্ছে। সেখানে এলইডি বাতির আলো থাকবে। এবার এই পুজো ১৯ বছরে পড়বে। মাটি, খড় দিয়ে গ্রাম বাংলার বিভিন্ন ঘর তৈরির কাজ চলছে। গ্রামের ছেলেমেয়েরা বাল্য বিবাহ, সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ বিষয়ক বিভিন্ন বোর্ড লিখছে। সেসব ওই পুজো প্রাঙ্গণে রাখা হবে।