বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
এএফসি এশিয়ান কাপে ব্যর্থ হওয়ার পর ভারতের কোচের পদ থেকে ব্রিটিশ কোচ স্টিভন কনস্টানটাইন পদত্যাগ করেন। স্টিভন পরিষ্কার বলে যান, ‘ভারতীয় দলের হয়ে আমার কাজ শেষ। নতুন যে দায়িত্ব নেবেন তাঁর প্রতি আমার শুভেচ্ছা থাকল।’ স্টিভন কনস্টানটাইন চলে যাওয়ায় ভারতীয় দলের একাংশ হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। বিশেষ করে অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী সম্প্রতি সর্বভারতীয় এক মিডিয়াকে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘স্টিভনের একটি সিদ্ধান্তে আমি ভীষণ দুঃখ পেয়েছি। সেটা হল রোটেশন অব ক্যাপ্টেন্সি। আমি ভারতীয় দলের হয়ে নিজের সেরাটা দিতে সবসময় বদ্ধপরিকর। তাতে আমি অধিনায়ক হলাম, কী হলাম না সেটা বড় ফ্যাক্টর নয়। কিন্তু এশিয়ান কাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে প্রণয়, সন্দেশ, গুরপ্রীতের সঙ্গে আমাকেও রোটেট করা হল। আমি সেটা মেনে নিতে পারিনি!’ এমনিতেই সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল, এশিয়ান কাপ ভারতের কোচ হিসেবে স্টিভন কনস্টানটাইনের কাছে অ্যাসিড টেস্ট। এশিয়ান কাপের নকআউট পর্বে উঠতে ব্যর্থ হলে স্টিভনের সঙ্গে চুক্তি আর নবীকরণ করা হবে না। সেই কথা জানতে পেরে এশিয়ান কাপের পরেই বুদ্ধিমানের মতো নিজেই পদত্যাগ করেন এই বিদেশি কোচ। এআইএফএফ কর্তাদের বরখাস্তের চিঠি আর ব্রিটিশ কোচকে দিতে হয়নি।
তবে ফেডারেশন কর্তারা স্বীকার করছেন, স্টিভনের কোচিংয়ে ভারতীয় ফুটবলের সমূহ উন্নতি হয়েছে। বিশেষ করে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ভারত অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ভারত বুক চিতিয়ে খেলার অভ্যাস গড়ে তুলেছে। এশিয়ান কাপের পারফরম্যান্সই তার বড় প্রমাণ। এছাড়া স্টিভন অনেক জুনিয়র ফুটবলারকে তুলে নিয়ে এসেছেন লাইমলাইটে। উদান্তা, হোলিচরণরা এখন ভারতীয় দলের অপরিহার্য ফুটবলার। এমনিতেই জুনিয়র ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে ডেরেক পেরেরাকে নিয়োগ করেছে এআইএফএফ।