উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
ধরা পড়ার পর লাল্টু অফিসারদের জানিয়েছে, সে জানত রাজ্যে থাকা নিরাপদ নয়। আর ঝাড়খণ্ড বা বিহারে গিয়ে লুকিয়ে থাকার ক্ষেত্রে ঝুঁকি রয়েছে। কারণ এখানে পাওয়া না গেলে, ওই দুই রাজ্যকেই টার্গেট করবে তদন্তকারী টিম। সেই কারণেই ঠিক করে, এমন জায়গায় পালাবে যেখানে তাকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল হবে। সেইমতো তার এক বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করে। ওই বন্ধুর এক পরিচিতের বাড়ি রয়েছে ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরে। সেইমতো লাল্টু তার বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনার পরপরই চলে আসে ছত্তিশগড়ে। বন্ধুর পরিচিতের বাড়িতে থাকতে শুরু করে। তাদের বলা হয়, বিশেষ কাজে লাল্টু কয়েকদিন এখানে থাকবে। কাজ মিটে গেলেই সে চলে যাবে।
যে বন্ধুর মাধ্যমে লাল্টু ছত্তিশগড়ে যায়, তাকে চিহ্নিত করেন তদন্তকারী অফিসাররা। তার মোবাইল নম্বর জোগাড় করা হয়। দেখা যায়, ঘটনার পর লাল্টুর সঙ্গে তার একাধিকবার কথা হয়েছে। টাওয়ার লোকেশন থেকে জানা যায়, তারা ছত্তিশগড়ে রয়েছে। এরপরই একটি টিম সেখানে রওনা দেয়। শনিবার সকালেই লাল্টুকে ধরা হয় বিলাসপুর থেকে। জেরায় সে সিআইডিকে জানিয়েছে, নির্মল কুণ্ডুকে খুনের সময় সে ঘটনাস্থলে ছিল। তার নেতৃত্বেই বাইকে চড়ে আসে অন্য অভিযুক্তরা। নির্মলকে খুনের পরিকল্পনা সে ও তার এক সহযোগী মিলে করে। ছেলে জোগাড় থেকে শুরু করে কীভাবে নির্মলকে খুন করা হবে, তার ছক তারা দু’জনে মিলে তৈরি করে। সেইমতো তাঁর উপর হামলা চালানো হয়।
খুনের কারণ নিয়ে লাল্টুর বক্তব্য, এলাকায় সিন্ডিকেট ও তোলাবাজির নিয়ন্ত্রণ তাদের হাত থেকে নির্মল ক্ষমতার জোর করে কেড়ে নেন। তখন থেকে তাঁর উপর তাদের আক্রোশ জন্মায়। তারাও শাসকদলের সক্রিয় কর্মী। কিন্তু এলাকার নির্মল কুণ্ডুর রমরমা বেশি হওয়ায়, তিনি তাদের এলাকাছাড়া করে দেন। ধৃতের দাবি, সিন্ডিকেট ও তোলাবাজির দাপটে বিপুল পরিমাণ টাকার মালিক হন নির্মল। তাঁকে খুন করে ওই জায়গা দখল করাই ছিল লাল্টুর উদ্দেশ্য। এমনটাই তদন্তে উঠে এসেছে। তবে ঘটনার দিন কে নির্মলবাবুকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল, তা নিয়ে কিছু তথ্য এসেছে অফিসারদের হাতে। এই নিয়ে লাল্টুকে জেরা করা হবে। পাশাপাশি তার সহযোগী কোথায় পালিয়ে রয়েছে, তা তার কাছ থেকেই জানতে চায় সিআইডি।