বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় বলেছেন, আমরা আগে কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট বা সিএসপি চালু করেছিলাম। এবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এটিএম চালু করতে চলেছি। এতে লক্ষ লক্ষ কৃষক সুবিধা ভোট করবেন। সমবায়মন্ত্রী বলেন, কৃষকদের সুবিধার জন্য মুখ্যমন্ত্রী একগুচ্ছ প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। এটি হলে গ্রামীণ এলাকার মানুষ, বিশেষত কৃষকরা আরও সুবিধা পাবেন।
সমবায় দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত আর্থিক বছরে সমবায় দপ্তর ৮ হাজার কোটি টাকা কৃষিঋণ দিয়েছে। আগামী আর্থিক বছরে অর্থাৎ ২০১৯-’২০ বছরে এই ঋণ দেওয়ার পরিমাণ অনেকখানি বাড়ানো হবে। কত পরিমাণ ঋণ দেওয়া হবে, তা বাজেটেই উল্লেখ করা হবে। এছাড়াও প্রায় ১৪ লক্ষ কৃষককে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়েছে। আগামী আর্থিক বছরে তার সংখ্যাও বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সমবায় দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন কৃষকদের টাকা তোলার জন্য সমবায় সমিতি বা ব্যাঙ্কে গিয়ে তুলতে হয়। বারবার টাকা তোলা সহজ নয় বলে একসঙ্গে অনেক টাকা তাঁরা তুলে নেন। এতে কৃষকদের সমস্যা হয়। আবার অনেকে টাকা খরচ করে ফেলেন। কিন্তু, এটিএম কার্ড হয়ে গেলে তাঁরা প্রয়োজনমতো টাকা তুলতে পারবেন। আবার কৃষিঋণের টাকাও এক সঙ্গে তাঁদের তুলতে হবে না। প্রয়োজনমতো তাঁরা তুলতে পারবেন। এখন যে কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট তৈরি হয়েছে, সেটিও নির্দিষ্ট সময় খোলা থাকে। কিন্তু, এটিএমে ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা পাওয়া যাবে।
সমবায় দপ্তরের কর্তারা বলেছেন, এখন সমবায় ব্যাঙ্ক ও সমিতির মধ্যে কোর ব্যাঙ্কিং সিস্টেম চালু হয়ে গিয়েছে। ফলে কৃষকদের নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কেই টাকা তুলতে হবে তা নয়। যাঁরা যে কোনও শাখার এটিএমে টাকা তুলতে পারবেন। এতেও কৃষকরা সুবিধা পেয়েছেন। সমবায়মন্ত্রী বলেন, গত সাত বছরে রাজ্য সরকার কৃষকদের জন্য যা যা করেছে, তা স্বাধীনতার ৭২ বছরে কোনও রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকার করেনি। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগই একমাত্র কারণ।