বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
সত্যজিৎবাবু বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজের পাড়াতেই সরস্বতী পুজোর মণ্ডপ উদ্বোধন করতে যাচ্ছিলেন। তিন-চারজনের দুষ্কৃতী দলটি খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে। এই খবর ছড়াতেই হাসপাতালে এসে জড়ো হন দলের কর্মী-সমর্থকরা। এসে পড়েন তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত, রাজ্যের কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস সহ অন্যান্য নেতারা। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে হাঁসখালিতে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দুলাল বিশ্বাস দলীয় কার্যালয়ের মধ্যেই দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন। ওই ঘটনাতেও অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি’র দিকে। তবে পুলিস তদন্তে নেমে শাসকদলেরই কয়েকজন কর্মী-সমর্থককে গ্রেপ্তার করে। বিজেপি’র দাবি, দলীয় কোন্দলের কারণেই এদিন এই ঘটনা ঘটেছে। ২০১৫ সালে কৃষ্ণগঞ্জ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রথমবার বিধায়ক হন সত্যজিৎ বিশ্বাস। ২০১৬ সালে ফের তিনি নির্বাচিত হন তৃণমূলের টিকিটে। দক্ষ সংগঠক হওয়ায় তিনি দলের জেলা যুব সভাপতির দায়িত্বও পান। তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, এই ঘটনায় বিজেপির দুষ্কৃতীরা জড়িত। নির্বাচনের আগে আমাদের সংগঠনকে দুর্বল করার জন্যই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তিনি বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের নাম করেই অভিযোগ করেন। বিজেপি’র নদীয়া জেলা সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, এই ঘটনায় আমাদের দলের কেউ যুক্ত নয়। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক কারণেই বিজেপির দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে। এর আগে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি খুনেও আমাদের দিকে অভিযোগ তোলা হয়েছিল। তিনি বলেন, দুলালবাবুর খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল সত্যজিৎ বিশ্বাসের। ওই ঘটনার সঙ্গে এর কোনও যোগসূত্র আছে কি না, তদন্ত করুক পুলিস।
বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, প্রয়োজনে সিবিআই তদন্ত হলে সব সাহায্য করব। প্রকৃত খুনিদের সামনে আনা হোক। জেলার পুলিস সুপার রূপেশ কুমার বলেন, তদন্ত চলছে। অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। রাজনৈতিক মহল জানাচ্ছে, সাম্প্রতিক অতীতে এর আগে একজন বিধায়ক খুন হয়েছেন। তিনি ফরওয়ার্ড ব্লকের রমজান আলি। তবে তার পিছনে রাজনৈতিক কারণ ছিল না বলে জানা যায়।
সত্যজিৎ বিশ্বাস। - ফাইল চিত্র