বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
নিয়ম অনুযায়ী, শিক্ষকরা মোবাইল নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকলে তা বন্ধ করে প্রধান শিক্ষকের কাছে জমা রাখতে হবে। ফোন বন্ধ অবস্থায় নিজের কাছে রাখতে পারবেন না। মোবাইল ফোনে কথা বলা তো দূরের কথা। কেউ যাতে ভুল করেও এ কাজ না করেন, তার জন্য ফের শিক্ষকদের সতর্ক করে দিতে চাইছে পর্ষদ। সে কারণেই পর্ষদ সভাপতি একথা জানিয়েছেন বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। তবে, শিক্ষকদের একাংশ এতে ক্ষুব্ধ। তাঁদের বক্তব্য, মোবাইল ফোন যে ব্যবহার করা যাবে না, সে বিষয়ে লিখিত নিয়মাবলী আগেই পর্ষদ প্রকাশ করেছে। তা হলে বারবার এই হুঁশিয়ারি দেওয়ার অর্থ কী? তাহলে পর্ষদ সার্বিকভাবে শিক্ষকদের উপর ভরসা রাখতে পারছে না? একইভাবে মাধ্যমিকে কোনও কেন্দ্রে পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয়েছে একজন সরকারি আধিকারিকের উপর। আগে এ কাজের দায়িত্বে থাকতেন সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
তবে, জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে এক স্কুলের প্রশ্নপত্র নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রধান শিক্ষক খুলে ফেলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। ওই স্কুলেরই এক শিক্ষক অভিযোগ করেছিলেন, এক ছাত্রকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দিতে এই কাজ করেন ওই প্রধান শিক্ষক। সেই জল বহুদূর গড়ায়। সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, প্রধান শিক্ষকরা পর্ষদের তদন্তে প্রাথমিকভাবে দোষী প্রমাণিত হয়ে সাসপেন্ড হয়েছিলেন। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতেই এবার কড়া হয়েছে পর্ষদ। তবে, প্রশ্নপত্রের খামে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক চিপ ভরা থাকবে এমন দাবি করে গতবার হাসির খোরাক হয়েছিল পর্ষদ। কারণ, সেগুলির কার্যকারিতা বা আদৌ সেরকম কোনও প্রযুক্তি ব্যবহার হয়েছিল কি না, তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এবারও সেরকম ফাঁকা আওয়াজ দেওয়া হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্নও তুলছেন অনেকে।
মোবাইল নিয়ে এবার কড়া হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদও। তারা দাবি করেছে, এবার পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইলের জন্য স্ক্যানার থাকবে। শুধুমাত্র মোবাইল নয়, যে কোনও ধরনের ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেটের উপরই রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এদিকে, মাধ্যমিক শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার। জানা গিয়েছে, সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করবে পর্ষদ। অতীতে পরীক্ষার আগের দিন সাংবাদিক বৈঠক করার ঘটনা বেশ কয়েক বছরের মধ্যে হয়নি। তাই মনে করা হচ্ছে, প্রস্তুতি নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরেই সাংবাদিক বৈঠক করতে চাইছে পর্ষদ।