বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
নার্সিংহোম সূত্রে জানা গিয়েছে, চীনা মাঞ্জা অত্যন্ত ধারালো হওয়ায় কেটে যাওয়া ঠোঁটের এবং নাকের অংশে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। চারটি সেলাই করতে হয়েছে। পরে তাঁকে সেখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কলকাতা পুলিসের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ-পূর্ব) কল্যাণ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ওই এলাকায় চীনা মাঞ্জায় ঘুড়ি ওড়ানোর উপরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ক্রমে ক্রমে বন্ধ হবে। এব্যাপারে পুলিস সবরকম পদক্ষেপ করছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভজিৎবাবু হেলমেট পরেই বাইক চালাচ্ছিলেন। মা উড়ালপুলের উপরে পার্ক সার্কাস রেল ওভারব্রিজ পেরিয়ে এগতেই তিনি অনুভব করেন, তাঁর হেলমেটে কিছু একটা পেঁচিয়ে গিয়েছে। তাঁর কথায়, আমি সঙ্গে সঙ্গে ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে পড়ি। হেলমেট খুলে দেখি সুতোয় পুরো পেঁচিয়ে রয়েছে। আর আমার নাকের এবং ঠোঁটের দু’টি কোণ থেকে রক্ত ঝরছে। শুরু হয় অসহ্য যন্ত্রণা। রক্তে পোশাকের অনেকটা অংশই ভিজে যায়। আমাকে দেখে অনেকেই গাড়ি থামিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন।
শুভজিৎবাবু একটি বেসরকারি উড়ান সংস্থার নিরাপত্তা বিভাগের আধিকারিক। নিত্যদিনই এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। তাঁর কথায়, এদিন তিনি দাদার বাড়ি বেলেঘাটায় যাচ্ছিলেন। অনেকবার তিনি ঘুড়ির সুতোতে এই বিপত্তির কথা শুনেছেন। এবার নিজে এই ফাঁদে পড়লেন।
পরিবেশকর্মীদের একাংশের মতে, পার্ক সার্কাস, তপসিয়া, ট্যাংরা সহ ইএম বাইপাস লাগোয়া কয়েকটি তল্লাটে প্রকাশ্যেই নিষিদ্ধ চীনা মাঞ্জা বিক্রি হয়। সেই সুতো নিয়েই ঘুড়ি ওড়ান অনেকে। তার থেকেই এমন ঘটনা বেড়ে চলেছে। কলকাতা পুলিসের সার্জেন্ট থেকে সাধারণ বাইক চালক, সকলের কাছেই মা ফ্লাইওভার এখন সাক্ষাৎ মরণফাঁদ! এদিনের এই দুর্ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। গত এক-দেড় বছরে বারে বারে নিষিদ্ধ চীনা মাঞ্জায় গলা-মুখ ফালা ফালা হয়েছে শহরের অনেক বাসিন্দার। জখমদের তালিকায় কলকাতা পুলিসের সার্জেন্ট থেকে একরত্তি মেয়েও রয়েছে। কিন্তু তবুও কোনও এক রহস্যজনক কারণে প্রতিকার নেই এই সমস্যার! গত ডিসেম্বরে ১০ দিনের মধ্যে এই ধরনের দু’টি ঘটনা ঘটেছে। পুলিসের একাংশের কথায়, মা উড়ালপুলের দু’ধারে নেট দিয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে না। রীতিমতো অভিযান চালাতে হবে। শুধু উড়ালপুলের দু’পাশে ফাঁকা জমিতেই নয়, আশপাশের বাড়িগুলির উপরেও চীনা মাঞ্জার সুতো দিয়ে ঘুড়ি ওড়ানো হচ্ছে কি না, তার নজরদারি চালাতে হবে। নইলে এই ঘটনা থেকে রেহাই মেলা অসম্ভব।