বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
বর্তমানে গার্ডেনরিচ জলপ্রকল্পের অধীনে রয়েছে ২০টি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন। জি জে খান রোড, সিরিটি, দাসপাড়া, গান্ধী ময়দান, সেনপল্লি, প্রফুল্ল পার্ক, লায়েলকা, পর্ণশ্রী, হরিশ পার্ক, বেহালা ফ্লাইং ক্লাব, নগেন্দ্র উদ্যান, আগ্রাসী মাঠ, স্বামী বিবেকানন্দ পার্ক, হিন্দুস্তান পার্ক, পর্ণশ্রী সরকারি আবাসন এবং গার্ডেনরিচ ওয়াটার ওয়ার্কস (ক্লিয়ার ওয়াটার স্টেশন)। এই তালিকার মধ্যে গার্ডেনরিচ ওয়াটার ওয়ার্কসে ছ’জন সশস্ত্র রক্ষী মোতায়েন করা হচ্ছে। বাকিগুলিতে দু’জন করে থাকবেন। মোট ৩০ জনকে নিয়োগ করা হচ্ছে।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমান গার্ডেনরিচ জল পরিশোধন প্রকল্পে ১৫০ মিলিয়ন গ্যালনের উপরে জল পরিস্রুত হয়। যা দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা এবং বেহালা, টালিগঞ্জ, যাদবপুরের একাংশ সহ শহরতলির এলাকাগুলিতে সরবরাহ হয়। বিভাগীয় এক কর্তার কথায়, এই বিশাল এলাকায় জল সরবরাহের ক্ষেত্রে পরিকাঠামোর নিরাপত্তার কথা ভাবনাচিন্তা তো করতেই হয়। তবে এতদিন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি কেন? জল সরবরাহ বিভাগের এক কর্তার কথায়, নিরাপত্তা রক্ষী সেখানে ছিলেন না বললে ভুল হবে। নিরাপত্তার ব্যবস্থাও আগেও ছিল। কিন্তু সশস্ত্র রক্ষী নিয়োগের চিন্তাভাবনা করা হলেও তা মেলেনি। কারণ, যে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি পুর প্রশাসনকে চুক্তিভিত্তিক কর্মী সরবরাহ করে, তাদের কাছে লাইসেন্সপ্রাপ্ত সশস্ত্র রক্ষী নেই বললেই চলে। এব্যাপারে আগের মেয়রকেও বলা হয়েছিল। তাতে অবশ্য কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই এ নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হলেও তা ধামাচাপা পড়ে যায়। কিন্তু এবার স্পেশাল পুর কমিশনার তাপস চৌধুরী বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগ নেন। তিনি পুর কমিশনার খলিল আহমেদের সঙ্গে এব্যাপারে কথাবার্তা বলেন। তারপরই মঙ্গলবার মেয়র পরিষদের বৈঠকে তা প্রস্তাব আকারে তোলা হয়। সূত্রের খবর, মেয়র জল সরবরাহ বিভাগের আধিকারিকদের প্রশ্ন করেন, আরও সশস্ত্র রক্ষী প্রয়োজন কি না? নাকি যা তালিকা দেওয়া হয়েছে, তা যথেষ্ট? উত্তরে, জল সরবরাহ বিভাগের কর্তারা বলেন, ৩০ জন আপাতত নিয়োগ করা প্রয়োজন। এরপর যদি দরকার হয়, সেক্ষেত্রে তাঁরা ফের প্রস্তাব আকারে দেবেন। এরপরই মেয়র এই সশস্ত্র রক্ষী নিয়োগের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেন। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বলেন, জল হচ্ছে মানুষের জীবন। তাই শহরের মানুষের জন্য জল সরবরাহের পরিকাঠামো সবদিক থেকে রক্ষা করা আমাদের অন্যতম কর্তব্য। সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে ধাপা জলপ্রকল্পের অধীনস্ত বুস্টার পাম্পিং স্টেশনগুলিতেও একই ধরনের নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগ করা যায় কি না, তার ভাবনাচিন্তা করা হবে বলে তিনি জানান।