বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
বাঁকুড়ার শালদিয়া কলেজ ও কোচবিহার কলেজে অন্তত ২২টি গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। মামলাকারী যথাক্রমে মিঠুরানি দাস ও নয়ন প্রামাণিকের তরফে আইনজীবী সৌমেন দত্ত আদালতকে জানান, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট জারি করা এক সরকারি নির্দেশিকাকে হাতিয়ার করে যে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হাত দেওয়া হয়েছে, তা অবৈধ। তিনি দাবি করেন, এই নির্দেশিকার জেরে কলেজ সার্ভিস কমিশনের এক্তিয়ার খর্ব করা হয়েছে। কমিশন যে আইন দ্বারা পরিচালিত হয়, তার একটি অংশকে অন্যায্যভাবে ব্যবহার করে এমন নিয়োগের দায়িত্ব ওই নির্দেশিকা মারফত কলেজগুলির পরিচালন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কারণ, ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী কলেজ তার মতো করে নির্বাচক কমিটি গঠন করে নিয়োগ করবে। সেখানে কমিশনের নাক গলাবার কোনও সুযোগই নেই। অথচ, এমন নিয়োগের জন্যই কমিশন গঠন করা হয়েছিল। ফলে এমন নিয়োগে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের সুযোগ বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে।
আদালতকে জানানো হয়, নিয়োগ সম্পর্কিত বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কম্পিউটার জানা থাকা বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু, ইন্টারভিউর সময় এর জন্য পাঁচ নম্বর রাখা হয়েছে। এও বলা হয়েছে, প্রার্থীর দুই বছরের কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তবে অন্যত্র নয়। যে কলেজে লোক নেওয়া হবে, সেখানেই যদি অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করে থাকেন, তাহলে সেই প্রার্থী বাড়তি পাঁচ নম্বর পাবেন। যা স্বজনপোষণের সুন্দর ব্যবস্থা। এমন সওয়ালের বিপরীতে কলেজগুলির তরফে এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানানো হয়। তা সত্ত্বেও ওই নির্দেশ জারি হয়েছে।