বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
স্থানীয় এক প্রবীণ বাসিন্দার কথায়, শিশুদের শারীরিক আঘাতের থেকে মানসিক আঘাত বেশি লেগেছে। তাই ঘটনার আতঙ্ক থেকে তারা বেরিয়ে আসতে পারছে না। ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের ব্লক তৃণমূলের সভাপতি পিয়াল চৌধুরী বলেন, সিপিএমের লোকজনের হাত থেকে শিশুদের গাড়িও রেহাই পায়নি। গাড়িটি সম্পূর্ণ ভেঙেচুরে দিয়েছে। এদিকে, পুলিস খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায়। আসে শিশুদের পরিজনরাও। তাঁরা বলেন, শিশুদের কী দোষ? কতদিনে শিশুগুলি আতঙ্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে, সেটাই দেখার। এদিন ঘটনাস্থল থেকে ধর্মঘটীদের ২২ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা প্রধান প্রবীণ ত্রিপাঠী। এদিকে, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, কারা পুলকারে হামলা চালিয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে। সন্ধ্যায় গড়িয়াহাট মোড়ে সভাও করেন তিনি।
এদিকে, দ্বিতীয় দিনে শহরে ধর্মঘটের তেমন প্রভাব কোথাও পড়েনি। এদিন সকালের দিকে যাদবপুর, বেহালা, ডায়মন্ডহারবার রোড, উত্তর কলকাতার কিছু অংশে ধর্মঘটীরা মিছিল করে সাময়িক পরিস্থিতি তপ্ত করার চেষ্টা করে। যাদবপুরের কাছে সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর মিছিল আটকায় পুলিস। সেইসময় ধর্মঘটীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। তাঁদেরকে পুলিস গ্রেপ্তার করলেও রাতে লালবাজার থেকে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিন শহরের বিভিন্ন প্রান্তে গাড়ি আটকানো, অবরোধ সহ একাধিক কারণে পুলিস ৯৯ জনকে গ্রেপ্তার করে। এন্টালিতে অনাদি সাহুর নেতৃত্বে মিছিল আটকে দেয় পুলিস। কিছুটা এগতে পারলেও পরে আর পারেনি। অন্যদিকে, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের কাছে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই।