বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
বারুইপুরে মহকুমা সেচবিভাগের অফিসের একতলায় এসডিও ইরিগেশন (বারুইপুর) জয়দীপ হালদার এবং দোতলায় মগরাহাট আউটফলের জুনিয়র বাস্তুকার মৃণাল হালদার বসেন। এক সময় পুরো অফিস কো-অর্ডিশেন কমিটির নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে ধীরে ধীরে তা তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত সংগঠনের হাতে চলে গিয়েছে। এখানকার ঠিকাদার ইউনিয়ন শাসকদলের দখলে। তার নেতা ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বিভাসবাবু। অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভাসবাবু ও তাঁর অনুগত ঠিকাদাররা সমস্ত কাজ তাদেরই দিতে হবে বলে সব সময় চাপ দিয়ে থাকে। অনেক জায়গায় খাল ঠিকমতো না কেটেই তার বিল দেওয়ার দাবি করা হয়। এসব নিয়ে আপত্তি করার জন্য বুধবার অফিসে ঢুকে মারধর করা হয় জুনিয়র বাস্তুকার মৃণাল হালদারকে। এসডিও ইরিগেশনের কাছে টাকা চেয়ে ধমকি দেওয়া হয়। বলা হয়, ঘুরপথে অনেক টাকা রোজগার করেছ। এবার দলীয় তহবিলে টাকা দিতে হবে। বিভাস সর্দার বলেন, ওই অফিসের অধিকাংশ স্থায়ী কর্মী কো-অর্ডিনেশন ভুক্ত। আমাদের দলভুক্ত অস্থায়ী কর্মীদের কোনও কাজ দেওয়া হয় না। ইউনিয়নভুক্ত ঠিকাদাররা কাজ করলেও, বিল পেতে কালঘাম ছুটে যায়। এজন্য টাকা দিতে হয় ওই সব অফিসারদের। তা নিয়ে অনেকের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। এরমধ্যে বনধ সমর্থন করে অফিসের মধ্যে কো-অর্ডিনেশন কমিটির নেতা মৃণাল হালদার পোষ্টার মারেন। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। বুধবার সেই পোষ্টার ছিঁড়ে দিতে বলা হয়। তা নিয়ে আমাদের ঠিকাদার ইউনিয়নের কয়েকজনের সঙ্গে তাঁর বচসা বাধে। এক ঠিকাদারের বিল পাস করিয়ে দেওয়ার জন্য মৃণাল দু’ লাখ টাকা নিয়েছিল। তখনই কেউ কেউ বলে অনেক টাকা রোজগার করেছ। এবার আমার থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দাও। এটাই হল প্রকৃত ঘটনা। বারুইপুর এসডিও ইরিগেশন জয়দীপ হালদার বলেন, আসল ঘটনা ধামাচাপা দিতে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হচ্ছে। যা সঠিক নয়। তদন্ত হলে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।