বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরে ১৯ জনকে টোকাটুকির জন্য ধরা হয়েছিল। তার মধ্যে ১৪ জনই ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের। বাকি পাঁচজনের মধ্যে দু’জন আইএসএলএম এবং তিনজন বিজ্ঞান বিভাগের। এঁদের প্রায় প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে কী ধরনের অভিযোগ ছিল? বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯ জনের মধ্যে পাঁচজন মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে ধরা পড়েছেন। কেউ আবার টুকলির জন্য ছোট ছোট কাগজে লিখে এনেছিলেন। এরমধ্যে এমন পড়ুয়াও রয়েছেন, যাঁরা ক্যালকুলেটরের পিছনে উত্তর লিখে এনেছিলেন। এঁদের মধ্যে দু’জন আবার পরীক্ষার খাতা বাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁদের অবশ্য সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাঁদের তিনটি করে পেপার বাতিল করা হয়েছে এবং ঠিক হয়েছে, সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষাতেও তাঁদের বসতে দেওয়া হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মহলের বক্তব্য, এমনিতেই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ুয়াদের সংখ্যা অন্য ফ্যাকাল্টির তুলনায় অনেকটাই বেশি। স্বভাবতই যাঁরা ধরা পড়বেন, অনুপাতিক হিসেবে তাঁদের সংখ্যা বেশি মনে হবে। তবে অসৎ পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার প্রবণতা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের মধ্যেই বেশি লক্ষ্য করা গিয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, টোকাটুকি রুখতে আরও বেশি করে সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। তাহলেই একমাত্র এই ব্যাধি ঠেকানো সম্ভব। এবার প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের ইন্ডাকশন প্রোগ্রামেও এ নিয়ে সবাইকে বলা হয়েছে।
এদিকে, স্নাতকের কেমিস্ট্রির প্রথম সেমেস্টারে রিভিউয়ে নম্বর কমে যাওয়া দুই পড়ুয়ার নম্বর ফের বেড়ে গেল। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রিভিউয়ের পর তাঁরা ফেল করে গিয়েছিলেন। তা নিয়ে বেশ শোরগোল পড়েছিল। নতুন করে রিভিউ করার দাবি তুলেছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। সেই মতো আরও একবার তাঁদের খাতা দেখা হয়। দেখা যায়, প্রথম রিভিউয়ের আগে যে নম্বর পেয়েছিলেন তাঁরা, এবার প্রায় তার কাছাকাছি নম্বরই পেয়েছেন। উল্লেখ্য, প্রথম রিভিউয়ের পর ১৫-১৭ করে নম্বর কমে গিয়েছিল তাঁদের। সূত্রের খবর, রিভিউয়ের নিয়ম অনুযায়ী, তিনজন শিক্ষকের নাম কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতে হয়। তার মধ্যে থেকে একজনকে বেছে নেওয়া হয়। কিন্তু প্রথমবার একজনেরই নাম দেওয়া হয়েছিল। তবে এবার আর সেই ভুল করেনি বিভাগ। তিনজনের নামই পাঠানো হয়।