বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
সেন্ট্রাল পার্ক পরিদর্শনের পর অভিষেকবাবু মন্ত্রী এবং দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, কীভাবে কর্মী-সমর্থকদের রাখা হবে, ব্রিগেডের দিন কীভাবে তাঁদের মাঠে নিয়ে যাওয়া হবে এবং কোথা থেকে কতজন কর্মী-সমর্থক এখানে এসে থাকবেন—এই সব নিয়েই আলোচনা চলে বৈঠকে। স্থানীয় নেতৃত্বকে দায়িত্ব ভাগ করে দূরের জেলা থেকে আসা কর্মী-সমর্থকদের দেখাশোনার নির্দেশ দেন তিনি। বৈঠকের পর অভিষেকবাবু বলেন, প্রায় ৩০-৩৫ হাজার কর্মী-সমর্থক আগেই চলে আসবেন। তাঁরা এখানে থাকবেন। জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, কালিম্পং এবং দুই দিনাজপুর থেকে ওই কর্মী-সমর্থকরা দু’-একদিন আগেই চলে আসবেন। এই মাঠেই বিধাননগর মেলা সম্প্রতি শেষ হয়েছে। মেলার সেই কাঠামো খুলে নতুন করে এত বিপুল আয়োজন করা সহজ কথা নয়। সেই বন্দোবস্ত যাতে ঠিকভাবে হয়, তা খতিয়ে দেখতেই এদিন তাঁর সেন্ট্রাল পার্কে আসা। কাজ খুব দ্রুতগতিতেই এগচ্ছে। নেতৃত্ব মনে করছে, ১৪-১৫ জানুয়ারির মধ্যেই সমস্ত পরিকাঠামো তৈরি হয়ে যাবে। যাতে এই শীতের সময় দূর-দূরান্ত থেকে আসা কর্মী-সমর্থকদের এখানে থাকতে অসুবিধা না হয়। এবছর ব্রিগেডে ৪০ লক্ষের কাছাকাছি মানুষের সমাগম হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন অভিষেকবাবু। তাঁর দাবি, জেলায় জেলায় ব্রিগেডের সমর্থনে তাঁরা যে সমাবেশ করছেন, তাতে ব্যাপক সাড়া মিলেছে।
প্রতিটি জেলার সমাবেশেই রেকর্ড পরিমাণ ভিড় দেখা গিয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর ১৫ ডিসেম্বর উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ব্রিগেডের সমর্থনে সমাবেশের সূচনা হয়েছিল। তা আগামী ১৩ জানুয়ারি হাজরা মোড়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হবে। বিগত সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়ে ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে জমায়েতের এক নয়া রেকর্ড হবে বলে তিনি আশাবাদী। গত দু’বছর সল্টলেক স্টেডিয়ামে কর্মী-সমর্থকদের রাখা হয়নি। তার বদলে মিলন মেলায় তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু, সেখানে এখন কাজ চলছে। তাই দল এবার সেন্ট্রাল পার্কে কর্মী-সমর্থকদের থাকার ব্যবস্থা করেছে।