বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
৮২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ফিরহাদ প্রতিবারই তাঁর জয়ের ব্যবধান বাড়িয়েছেন। প্রথমে, ২০০০ সালে চার হাজার ভোটে জয়ী হন। পরের বার ২০০৫ সালে জয়ের ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় সাড়ে আট হাজার। ২০১০ সালে সেই ব্যবধান হয় ১২ হাজার। পরের বার ২০১৫ সালে অবশ্য ব্যবধান কমে হয় সাত হাজার। সেবার প্রার্থী হয়েছিলেন ডাঃ প্রণব বিশ্বাস। ফিরহাদ হাকিম তখন মন্ত্রী হওয়ায় আর ভোটে দাঁড়াননি। এবার মেয়র হিসেবে চতুর্থবার লড়াই করলেন। তাঁর জয়ের ব্যবধান দাঁড়াল ১৩,৯৮৭ অর্থাৎ প্রায় ১৪ হাজার। অবশ্য তিনি যে জিতবেনই, তা নিয়ে অতি বড় সমালোচকও নিশ্চিত ছিলেন। ব্যবধান বেড়ে কত হবে, সেটাই ছিল আলোচ্য বিষয়।
উন্নয়নের জন্যই এই জয় বলে মনে করেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বললেন, আমরা যে কাজ করেছি, তাতে মানুষ আমাদের আশীর্বাদ করেছেন। মানুষকে অভিনন্দন। গোটা রাজ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কাজের জোয়ার এনেছেন, মানুষ তাঁর পক্ষেই রয়েছেন। রাজ্যের আসল হিরো হলেন মমতা, বাকি সব জিরো। উন্নয়নের জন্যই এই জয়। আমার ওয়ার্ডে ৪২টি বুথেই আমি জিতেছি। আগামী লোকসভা ভোটে ৪২টি আসনেই জিতব। মানুষ উন্নয়নের পক্ষেই ভোট দেবে।
এদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, আগে এই ধরনের উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী দিতে পারত না। এখন আমরা রাজ্যের সর্বত্র প্রার্থী দিচ্ছি। এই ফলাফল লোকসভা ভোটে প্রতিফলিত হবে না।
এই জয়ের ফলে ফিরহাদ হাকিমের মেয়র পদে থাকার আর কোনও সমস্যা রইল না। নতুন আইনের ফলে মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার ছ’মাসের মধ্যে কাউন্সিলার নির্বাচিত হয়ে আসতে হয়। ৩ ডিসেম্বর তিনি মেয়র হিসেবে শপথ নেন। মাস দেড়েকের মধ্যেই তিনি কাউন্সিলার হিসেবে নির্বাচিত হলেন। আজ, বৃহস্পতিবার পুর অধিবেশন কক্ষে ফিরহাদ হাকিম ও ১১৭ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলার অমিত সিং শপথগ্রহণ করবেন।