বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির হিসেব বর্হিভূত প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে বলে আগেই জেলাশাসকের কাছে নালিশ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন জয়দেববাবু। জেলা সভাপতি শিশির অধিকারীকেও চিঠি দিয়েছেন। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ জয়দেব বর্মনের বিরুদ্ধে দলীয়স্তরে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে জেলা সভাপতিকে চিঠি দিয়েছেন দিবাকর জানা এবং ওই ব্লকে তাঁর অনুগামীরা।
শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে তৃণমূলের কোনও ব্লক সভাপতি নেই। শরৎ মেট্যা এবং উত্তম সাউকে আহ্বায়ক করে ব্লক কমিটি চলছে। কিন্তু, পঞ্চায়েত এবং সংগঠনে কারা একচ্ছত্র ছড়ি ঘোরাবেন, তা নিয়ে দু’ই শিবিরের বিভাজন স্পষ্ট। একদিকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকরবাবু, অন্যদিকে জয়দেববাবু এবং বামদেববাবুরা আছেন। গত বোর্ডে বামদেব গুছাইত পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি ছিলেন। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হওয়ার দাবিদার তিনিই ছিলেন। কিন্তু, তিনি ২০১৮ সালে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি। প্রাক্তন সহকারী সভাপতির দাবি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় প্রশাসনিক ভবনের সামনে দিবাকর জানার অনুগামীরা আটকে দিয়েছিল।
শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের অন্তর্গত মোট ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত আছে। গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির পরিচালনায় কারা খবরদারি করবে, তা নিয়ে বেশকিছু দিন আগে থেকেই দুই শিবিরের মধ্যে চাপানউতোর অব্যাহত। এরমধ্যেই কাটমানি ইস্যু আসতেই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি করে চিঠি দেন পঞ্চায়েত সমিতির ওই কর্মাধ্যক্ষ। দিবাকরবাবু বিভিন্ন মৌজায় ২৭৪শতক জমি কিনেছেন এবং তার মূল্য অন্তত চার-পাঁচ কোটি টাকা বলে অভিযোগ করেছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। এছাড়াও কোলাঘাটে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১০০০ গাড়ি বোল্ডার রাস্তার ফেলার জন্য কাগজে কলমে কেনা হলেও কোথাও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন জয়দেববাবু। একইভাবে আস্তারা মৌজায় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির রিসর্ট নিয়েও অভিযোগ করা হয়েছে।
সম্প্রতি দিবাকরবাবুর সঙ্গে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতির একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যদিও ওই ছবি নকল এবং জয়দেববাবু ও বামদেববাবু ফটোশপ করে ছড়িয়েছেন বলে অভিযোগ করেন দিবাকর জানা। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলেন, কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আমরা ১০০০ গাড়ি বোল্ডার এনে শান্তিপুর-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পাঠিয়েছি। পঞ্চায়েত থেকে রেজ্যুলিউশন পাওয়ার পর আমি বোল্ডার পাঠিয়েছি। আমি ব্যাঙ্কঋণ নিয়ে রিসর্ট বানিয়েছি। এনিয়ে আয়কর দপ্তর তদন্ত করতে পারে। আমার টাকা আছে বলে আমি বিভিন্ন মৌজায় জমি কিনেছি। এনিয়ে জয়দেববাবুকে কৈফিয়ত দিতে যাব কেন?
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলেন, আমরা ব্লকের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বৈঠকে বসে জয়দেব বর্মণকে পার্টি থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই সংক্রান্ত প্রস্তাব শিশিরবাবুর কাছে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে জয়দেববাবু বলেন, আমাকে বহিষ্কার করার এক্তিয়ার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে কে দিল?
পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সহকারী সভাপতি বামদেববাবু বলেন, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রচুর মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। কাটমানি থেকে কমিশন সবেতেই দিবাকর জানা এক নম্বরে আছেন। এদের জন্য শিক্ষিত মানুষজন পিছনের সারিতে আছেন। দিবাকর জানার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য শিশির অধিকারী এবং শুভেন্দু অধিকারীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করি, এর একটা হেস্তনেস্ত হবে। তা না হলে আমরাও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হব।