বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
তিনি সভা থেকে বলেন, এরাজ্যের রাস্তাঘাট, স্বাস্থ্য শিক্ষা থেকে শুরু করে সার্বিক উন্নয়নের জন্য মোদিজি টাকা পাঠাচ্ছেন। আর দিদির ভাইরা কাটমানি খেয়ে সবটাকা ফাঁকা করে দিচ্ছে। গরিব মানুষের কাছ থেকে কাটমানি হিসেবে নেওয়া লুটের টাকা তৃণমূল নেতাদের কাছ থেকে ফেরত নিন। রবিবার কলকাতায় যাওয়ার জন্য বেরলে তাঁদের রাস্তায় আটকে কাটমানি ফেরত নিন। তারপর যেতে দেবেন। আর ভয়ে যাঁরা কলকাতার পথে পা বাড়াচ্ছেন না তাঁদের বাড়ির সামনে প্রতারিতদের জড়ো করে বিক্ষোভ ধর্না করুন। টাকা ফেরত না দিলে ব্যাটাদের গ্রামছাড়া করুন।
এদিনের সভামঞ্চে ওন্দা ব্লকের বিভিন্ন গ্রামপঞ্চায়েতের প্রায় ৩০০টি পরিবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেন। দিলীপবাবু তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন।
দিলীপবাবু বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওন্দা সহ বাঁকুড়ার সমস্ত জায়গায় মানুষকে মনোনয়নপর্যন্ত জমা দিতে দেওয়া হয়নি। লোকসভা নির্বাচনে মানুষ তার জবাব দিয়েছে। গুন্ডা ও পুলিসকে কাজে লাগিয়েও সেমিফাইনালেই শাসক দল ভূপতিত হয়েছে। ২০২১ সালে ফাইনালে মানুষের রায়ে তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
দিলীপবাবু বলেন, গরিবমানুষের কাছ থেকে নেওয়া সমস্ত টাকা কড়ায় গণ্ডায় হিসেব করে সুদ সহ ফেরত দিতে হবে। তা না হলে স্থানীয় নেতা, পঞ্চায়েত সদস্য থেকে শুরু করে মন্ত্রী বা সংসদ সদস্য যেই হোক না কেন বিধানসভা নির্বাচনের পর জেলে থাকতে হবে। সেই ব্যবস্থা আমাদের সরকার ও সিবিআই করবে।
তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের বহু নেতামন্ত্রী এখন বিজেপিতে আসার জন্য ছটফট করছেন। নিয়মিত ফোন করছেন। কিন্তু, আমরা বলেছি আগে গরিব মানুষের কাছ থেকে নেওয়া কাটমানি ফিরিয়ে দিয়ে গঙ্গা স্নান করুন। তারপর আমরা চিন্তাভাবনা করব। আমরা কোনও চোরডাকাতকে দলে নেব না। কারণ, মানুষ ওদের বিরুদ্ধে রায় দিতেই আমাদের ভোট দিয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় কর্মী সমর্থকদের মার খাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি কর্মীদেরই রুখে দাঁড়াতে বলেন।